হয়তো রক্তপিপাসু কোন ছোরা ছিল না সেটা...
কিন্তু কেটেছিলো...গহীন প্রকোষ্ঠে একটা গভীর দাগ কেটেছিলো বটে...
আসলে ধারালো কোন খঞ্জরের চেয়ে কমও ছিলো না...
ছিলো ক্ষত-বিক্ষত করার আজন্ম দক্ষতা...
চাওয়াগুলো একইবিন্দুতে কেন্দ্রীভূত হয়েছিলো বলেই হয়তো...
দুর্বোধ্য সময়-ঘড়ির পেন্ডুলাম হয়ে ফিরে ফিরে আসছিলো বারবার...
আগুন-ঝরা শিমুলের ছদ্মবেশী আড়ালে...সুতীক্ষ্ণ কাঁটা হয়ে...
নিয়তই যেটা গাঁথা ছিলো...বুকের বামপাশটায়...
কখনো হয়তো, নির্জীব-নিস্পন্দ এ কাঠের শরীরটা,
বিক্ষুব্ধ বিপরীত স্রোতে, গন্তব্য ভুলে- ভেসে গেছে বহুদূর...
তবুও কখনোই হারেনি, হতাসাকে হত্যা করার আজীবনের সে অভিলাস!
তাই হেমলকের পেয়ালায় চুমু খাবার সেই সুবর্ণ সুযোগও,
হেলায় হারেনি কখনোই...যদিও হারিয়ে গেছে...
সেই ছুরি...কাটাদাগ...ফুল...মালি...সবাই...