আমি সেই চলন্ত কবি...
যখনই গতির ছায়া, কায়ার মায়ায় আবদ্ধ,
জন্মেই সুখী হয় কতো শত পদ্য!!!
আমিও উল্লাসিত...সৃষ্টি সুখে মত্ত...
কবিতার খাতায় উঠে আসতে চায়...রাস্তার একঘেয়ে জীবন...
আমি বাঁধা দেই...মই কেড়ে নেই...সুনিপুণ দক্ষতায়...
বিনিময়ে, নতুন মোড়কের ঝলমলে কাব্যকে-
নিমন্ত্রণের ফাঁদে ফেলে করি অবরুদ্ধ।
সিগনালে দৌড়ে ফুল বিক্রি করে যে শিশুটি-
তার বিক্রি পরের উৎফুল্লতাকে উঠে আসতে দেই অনায়াসে...
কিন্তু একটু আগের অবুঝ-আকুতিকে যেন দেখতেই পাই না!!
ট্রাফিক আঙ্কেলের আগুন রঙা পোশাক, আর ছেড়া কাঁথায় শুয়ে থাকা বৃদ্ধারা-
যাত্রাপালার নায়ক আর চাঁদের চর্কা-কাটা বুড়ির রূপ ধরে ধরে আসতেই থাকে...
কেএফসি বা স্টার-কাবাবের সুরম্য সৌরভ...
বরাবরের মতোই পরাভূত...ধূলো আর মোবিল-পোড়া গন্ধে...
তাই আমাকে ঘুরে-ঘুরেই বেড়াতে হয়...তেপান্তর থেকে তেপান্তরে...
হয়তো, নিয়ত ঘূর্ণনশীল এ অভিমানী ধরণীর-
আজন্ম স্থিরতার দায় মুক্তির অভিপ্রায়ে...