ছেলে আর মেয়েটি আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুর মুখোমুখি আজ...
ছেলেটির এক হাতে মেয়েটির হাত...
অন্যটি ধরে আছে...বহুল ব্যবহারে জীর্ণ একটি দড়ি...
তারা ঝুলছে...উঁচু পাহাড়ের ছাদ থেকে...
হাত থেকে দড়িটা ফস্কে গেলেই...
মৃত্যুর শীতল ঘর থেকে ঘুরে আসা যায়...
তারপরও ছেলেটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললোঃ
ভালোবাসি তোমায়...!!!
আজ আমি কোন দুখের কবিতা লিখতে আসিনি...!!!
এসেছি গহীন-বিভীষিকার এই শীতল ঝরনায়...
ভালোবাসার উষ্ণ স্রোত প্রবাহিত করতে...
প্রেমিকের হাত শেষবারের মতো ছুঁয়ে দিয়ে...
কোন প্রেমিকাই...আজ অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে পারবে না...
বহু প্রতিঘাতে বিদীর্ণ, যে জীর্ণ পাটের দড়িটি আজ এখানে পৌঁছেছে...
তাকেও আজ লোহার শিকলের মতো সুদৃপ্ত অভিনয় করতেই হবে...
উড়ন্ত সাদা-কালো মেঘগুলোকে আজ রঙ্গিন ঘুড়ি হয়ে...
লাইলী-মজনুদের বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে...
সাত সমুদ্র...তেরো নদীর পাড়ে...