যবে বৃষ্টি পড়ে,
রিতি ইচ্ছে করে,
ভিজে স্নান করে।
তার কিঞ্চিৎ পরে,
রিতি কিঞ্চিৎ জ্বরে,
হঠাৎ হেলে পড়ে।
রিতি তার তরে,
ফোন-কল করে।
বর কল ধরে
অল্প গল্প করে।
আর বলে তারে,
"ঝড়ে বক পড়ে
যমুনার চরে,
ছটপট করে।
সেই শান্ত চরে,
আমি মাছ ধরে,
ফিরে যাব পরে।"
নিজ সজ্জা-ঘরে,
না রয়ে সে সরে
যায় সরোবরে।
সে যদিও জ্বরে,
তবু তার তরে
নাহি ডর করে।
যবে রিতি চরে,
পদ ভর করে,
সে সময় চরে,
পিছলিয়ে পড়ে।
তার বর তারে,
হঠাৎ হাত ধরে।
যদি যেত পড়ে,
তাতে যদি মরে
বাচঁবে কি করে,
বর ছেড়ে ওরে?
তা ভাবার তরে,
বুকের ভেতরে
ধরপর করে।
ফিরে তারে ঘরে
বর কিঞ্চিৎ করে,
চর মারে ওরে।
রিতি কান্না করে,
বারি চোঁখে ভরে।
বর তারপরে,
বারি মুছে ওরে
সমাদর করে।
আর করে পরে,
গল্প জল্প ভরে।
বলে বর ওরে,
এক ক্লাস ঘরে,
স্যার প্রশ্ন করে,
কেন দেরী করে,
এলে ক্লাস-ঘরে?
বল্টু বলে ডরে,
'আমি গাড়ী চড়ে,
আসি ক্লাস-ঘরে।
আজ গাড়ী পড়ে,
কাদার ভেতরে।"
স্যার প্রশ্ন করে,
"তাহলে কি করে,
এখন এ ঘরে?"
বল্টু বলে পরে,
"মোরা জোট করে,
ধাক্কা দিছি পরে,
বহু জোরে জোরে,
ধকধক করে।"
স্যার বলে ওরে,
"কাদা কই ভরে?"
তার প্রত্যুত্তরে,
কহে চিন্তা করে,
"কাদা গরে-গরে
ছিল অল্প করে,
রাস্তার উপরে।"
স্যার বলে ওরে,
"তাহলে কি করে
সেথা গাড়ী পড়ে?
মিথ্যা কথা ছেড়ে,
সত্য বল মোরে।*
আর তা না করে,
যদি এর পরে,
মিথ্যা বল মোরে,
দিব বার করে,
ক্লাস থেকে তোরে।
রও আজ দাড়ে,
তব কান ধরে।"
গল্প শুনে ঘরে,*
রিতি মন ভরে।
আবার অধরে
'হা হা' হাসি ভরে।
বর বউ ঘরে
হাসাহাসি করে।
সেই সাথে নড়ে,
খাট জোরে জোরে,
ঘটঘট করে।
মাথার উপরে
লেখা কিছু ঘরে,
চিকচিক করে।
দেখি পড়ে পড়ে,
রুপালি অক্ষরে
লেখা পদ্য সুরেঃ*
"এসো সুখ-নীড়ে
দিব নন্দ চিরে।"
বিঃদ্রঃ ১০০ টি চরণ। প্রত্যেক চরণে ৬টি করে মাত্রা (অক্ষর বৃত্ত ছন্দ)। প্রত্যেক চরণের শেষে "রে" উচ্চারিত হয়। প্রত্যেক চরণে কমপক্ষে ২টি করে একই বর্ণ আছে (“*” চিহ্নিত ৩টিতে সম্ভব হয়নি)।