বৎস, কেন তুমি আনমনা?
কোথায় হারাল চপলতার মন?
কেন বাবা তুমি তা জাননা?
একজনের চিন্তা করি সারাক্ষণ।
আমি যথার্থ প্রতিষ্ঠিত না,
তাই তার বাড়ীতে করেছি গোপন।
মেয়েটি যে প্রাপ্ত বয়ষ্ক না,
তাই তাকেও কিছু বলিনি তখন।
আজকে তো আমি বেকার না,
কিন্তু তার তো হয়ে গেছে নিরীক্ষন।
এখনো সে প্রাপ্ত বয়ষ্ক না,
তবুও হতে যাচ্ছে বিবাহ বন্ধন।
মেয়েদের অভাব হবেনা।
অনেক মেয়ে পাবে থাকতে জীবন।
না গো বাবা তুমি তো জাননা।
সে প্রেরনার বন, আস্থার দীপন।
তাকে নিয়ে চিন্তন করনা।
প্রতিষ্ঠিত হবার সময় এখন।
তাকে নিয়ে যেগুলো চেতনা,
সেগুলোই দেয় বিজয়ের আসন।
কখনো হয়ে আসে কল্পনা।
সে বলে তুমি এটা করবে এখন।
কখনো দেয় কানে মন্ত্রনা,
সে বলে, জানি তুমি জয়ী প্রতিক্ষন।
কিন্তু আর সেসব প্রেরণা,
বাবা, দিবে আমায় কোন সে পবন?
আমার তেজোদৃপ্ত সাধনা,
হেরে যাবে কি হৃদয়-ম্লানে এখন?
বৎস আমার দুঃখ করনা।
আবার নতুন ভাবে গড়ো জীবন।
পরিবর্তন কর চেতনা,
অন্যকে নিয়ে সূচনা কর চিন্তন।
না বাবা ; আমি তা পারবনা।
ফাঁকা নেই আর স্মৃতির কোন কোণ।
তার স্মৃতি মুছতে পারিনা।
যত চেষ্টা করি তত হয় বর্ধন।
তুমি কেন বুঝতে পারনা?
নয়ত হেরে যাবে তোমার জীবন।
না বাবা, আমি তো হারবনা।
আমি জীবন নোয়াব না কোন ক্ষণ।
নুয়ে পড়লে সে হাসবেনা,
বিষণ্ণতায় র্পূণ হবে তার মন।
পাল্টে যাবে তার বিবেচনা,
অপরাধী ভাববে নিজেকে তখন।
সেও হয়ে যাবে আনমনা,
আমার জন্যে অশ্রু ঝরবে তখন।
আমি তো সেটা বুঝলাম না,
তোমাকে চায়না তবু হবে এমন?
চায় কিন্তু প্রকাশ করেনা।
বাবা-মার ইচ্ছে করবেনা কর্তন।
তা ব্যতীত হয়ত কিছুনা।
এটাই বুঝেছি ; দেখেছিও স্বপন।
আমি ভাল আছি তাকে হীনা,
তাই এটাই বুঝাব তাকে এখন।
সেদিন স্ফুর্তি দিত প্রেরণা।
আজ প্রেরণা দিবে বিরহ বেদন।
সেদিন হাসি দিত প্রেরণা।
আজ প্রেরণা দিবে অঝোর ক্রন্দন।
তবু ইতি হবেনা ভাবনা,
অটুট রবে তাকে নিয়ে সারাক্ষণ।
তার সে অকৃতিম প্রেরণা,
বৃহৎ বড় জয় করবে আলিঙ্গন।
তবুও অর্থহীন হবেনা,
আমার নিষ্পাপ প্রণয়ের প্রাঙ্গণ।
উপরোক্ত কবিটিতে প্রত্যেক জোড় চরণে ১০টি করে এবং প্রত্যেক বেজোড় চরণে ১৩টি করে মাত্রা আছে (অক্ষর-বৃত ছন্দ) । এবং এর মিল বিন্যাস কখকখকখ...। লক্ষ্য করুন, প্রত্যেক জোড় চরণে "না" এবং বেজোড় চরণে "ন" যুক্ত।