বাল্য কাল থেকে, খেলা ধুলা রেখে,
করেছ রচন, অনেক বচন,
ব্যবহার করে কলম ও রুল।
হে জাতীয় কবি কাজী নজরুল।
আলখাল্লা গায়, টুপি মাথায়,
কবি ব্যাগ কাধে, রচনের সাধে।
মাথায় বিপুল ঝাঁকড়ানো চুল।
হে সৃজনী কবি কাজী নজরুল।
তোমার জীবনে পড়েছ পীড়নে।
কত শত কষ্ট হয়েছিল স্পষ্ট!
তবু নও ভ্রষ্ট হওনি নির্মুল।
হে সংগ্রামী কবি কাজী নজরুল।
যারা নিপীড়নে, ভয়াল শোষনে,
অধিকারে ত্যক্ত ভিষন উত্তক্ত,
করনি তাদের তব চক্ষুশূল।
হে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল।
লিখে পদ্য গান, পেয়েছ সম্মান।
উপন্যাস গল্প লেখনি তো অল্প।
প্রতিভা তোমার রচনে বিপুল।
হে ত্যাগীত কবি কাজী নজরুল।
ছোটদের তরে, মিষ্টি ছন্দ ভরে,
ছড়া শত শত কবিতাও কত!
লিখেছ সানন্দে হয়ে হুলস্থুল,
হে সুপ্রিয় কবি কাজী নজরুল।
সত্য ন্যায় শিক্ষা দিয়ে গেছ ভিক্ষা।
ধর্মের প্রচার করেছ আবার।
তাতে সত্যি নেই কোন যার তুল,
হে শিক্ষক কবি কাজী নজরুল।
সময় সপেছ, রচনা দিয়েছ।
চিন্তা মুক্ত ধনে, শুধু বিসর্জনে,
দেখিয়েছ তুমি স্বার্থের নির্মূল।
হে মহান কবি কাজী নজরুল।
বাংলার সংস্কৃতি তব দীপ্ত কৃতি
রাখে উচু করে, দেয় মান ভরে।
করে সবে শ্রদ্ধা দিয়ে গোরে ফুল,
হে শ্রদ্ধেয় কবি কাজী নজরুল।
বাংলার পাঠক রাখে ঝকঝক,
দেখে চক্ষু ভরে মন দিয়ে পড়ে,
বই তব সব করে অপ্রতুল।
হে বিখ্যাত কবি কাজী নজরুল।
তোমার রচন আজ কত জন,
করে গবেষণা অবোধ্য অজানা,
চেষ্টা করে যাতে বোঝে ভাব-মূল।
হে নিপুন কবি কাজী নজরুল।
বাংলার মানব ভক্তি করে সব
ভালবাসা ভরে তোমারই তরে
নাম জপে সদা নেই যাতে ভুল,
হে প্রেমিক কবি কাজী নজরুল।
(বিঃদ্রঃ ১২টি স্তবক। প্রত্যেক স্তবকে ৪টি চরণ। প্রত্যেক চরণে ১২টি মাত্রা। প্রতি চরণের মাত্রা বিন্যাস ৬+৬=১২। প্রত্যেক স্তবকের প্রথম দুইটি চরণে পর্বমিল আছে এবং প্রত্যেক স্তবকের শেষের দুইটি চরণের চরণমিল একই। এতে 'উল' ধ্বনি উচ্চারিত হয়।)