বিজয়ের দিনে মনে হয় পরাধীন
পর অধীন হতে এখন স্ব অধীন
পাকিদের শোষণে বাঁচার ছিল পণ
নিজেদের জুলুমে শুষ্ক হয় মন।
কারো নেই কথা বলার স্বাধীনতা
কারাগার পূর্ণ, করলেই বিরোধীতা।
বেকার যুবকের বিজয় হাসি নেই
বিকেল অবধি এখানে-সেখানে
ধর্না দিতে গিয়ে পিচ ঢালা পথের
আঘাতে রক্ত দিয়েছে ঢেলে
শুষ্ক মনে ফুটপাতের আশ্রয়ে,
চোখ বন্ধ হয় জোর করে
তবুও চোখ মেলে।
সুখের রাজ্যে উড়ার জয়ে।
স্বজন হারা ছুটে চলে দিগ্বিদিক
একটু বিচারের আশায়,
লোনা জলে বন্ধ হয়ে যায় চোখ
বেঁচে থাকে এখন স্ব অধীন
সেই শুষ্ক ভালবাসায়।
জরিনার শুষ্ক দেহে দুগ্ধ পোষ্য
খেতে চায় দুধ,
সে আশায় হয় গুড়ে বালি
পথ্য ঔষধ না জুটলেও
পথে পথে ঘুরে সন্ধ্যা বেলা
পায়ের বেদনায় নিথর হয়ে রয়,
এদিক-সেদিক কত প্রজাপতি
ছুতে গেলেই না পাওয়ার জ্বালায়
নয়ন যুগল শুষ্ক হয়।
স্বজন ছাড়ি স্বপ্ন রাজ্যে ভিড় করে
ব্যর্থ মনোরথ ফিরে, দেশ মাতৃকার টানে
বিজয়ের স্বাদে মিলন জোটেনি
অতৃপ্ত যৌবন তামা হয় পুড়ে,
কোরমা-পোলাওয়ে
বিজয় গাহে দেশ জুড়ে।
ক্ষুধার তাড়নায় ময়লার স্তুপে
বিজয় গাঁথা তোমার তরে
হে দেশ মাতা যপি
তোমার বিজয় গাঁথা,
উত্তর মেলেনি আজো
পেলাম এ কোন্ স্বাধীনতা।।
১৬/১২/২০১৫ খ্রৗ: