(২৪/০৪/২০১৩ খ্রৗ: সাভার ট্রাজেডীতে মৃতদের স্মরণে)
লাশ আর লাশ, দেখি লাশের মিছিল
ওরা কী চায়? ভাবেনা জগৎ নিখিল।
পেটে আহার নেই, চোখ বন্ধ, করে অনশন
ভাসে বাস্প অনল, আর্ত চিৎকার জুড়ে গগন।
ওরা মরেনি ছুড়েছে ঘৃণার বিষ
যুদ্ধ মাঠে ঘুমিছে সবে দূর করতে ক্লেশ।
ধ্বনীরে সুখ দিতে ক্লান্ত বোন দেখায় কঙ্কন
গলাগলি ধরি সহমর্মিতায় মৃত্যু আলিঙ্গন।
মানুষ গুম নয়, লাশ গুম চলছে রাজনীতি
সহমরনে শিখালে তোমরা কেমন সম্প্রীতি।
আঁখি খোল ছড়াও দ্রোহের আগুন
ভেঙ্গে ফেল কুটিল সব সমাজে ধরেছে ঘুন।
চুরমার হোক উচু-নীচু যত, নতুন গড়বো বলে
যুদ্ধ ছাড়া সাম্য অভেদ এসেছে কোন কালে?
বোনের বাহু খন্ড হয়েছে, শোভা পেয়েছে চুড়ি
ঐ হাত রাখ মিউজিয়ামে, রাজার হাতে নাড়ি।
জীবন যুদ্ধে শহীদ তাহারা মানে নাকো পরাজয়
সমাজপতির অসম চিন্তা এভাবে হইবে ক্ষয়।
তুমি যে পড়েছ স্যুট তাতে দেখি রক্তের দাগ
টবে ফুল ফুটালে তাতে দেখ শ্রমিকের রাগ।
কাপড় বুননে ঘাম মিশ্রণ, সুক্ষ্ম তন্তু
সালাম কর, পাজেরো গাড়ীতে সাহেব কিন্ত্ত।
যে জুতা পড়ে দম্ভ করে লালগালিচায় চল
সেই জুতার স্রষ্টারে অবহেলী তব নিম্ন বর্ণ বল।
তা দিয়া লাথি দিয়েছ সালাম করেনি বলে
সাহেব হতে না পা যদি থাকত কাঠের খোলে।
দিনে দিনে হেথায় সপীয়া নিজকে পেয়েছ অবহেলা
সময় হয়েছে উঠে দাঁড়াও, সাঙ্গ করগো খেলা।
স্বজনেরা! কেঁদ না! রেখে গেলাম নতুন দিনের খোঁজ
হিস্যা আদায় করগো তোমরা, যেভাবে করতো রোজ।
চোখের পানিতে পদ্মা নদী উপচে পড়তো আগে
ধু-ধু মরু দেখা দিয়েছে, পানি শুকিয়ে ক্রোধে।
সমাজ ভেঙে চুরমার কর তবেই শান্তি পাব
এক কাতারে ধনী গরীব, এক বিছানায় শুব।