মেঘমেদুর সে পথে ছেয়ে রাখা উর্বশী কৃষ্ণচূড়ার ডানা
দমকা বাতাসে উড়ে চলা শিমুল তুলোর অস্ফূট কাতরতা,
কিংবা ভুল পথে পা বাড়ানো কোনো পথিকের কাপড়ের ভাঁজে
আটকে যাওয়া প্রেমকাঁটার আগ্রাসী আস্ফালন...
আমার একাকী প্রহরগুলো বন্দী এখানে;
প্রিয় কিছু শব্দের নিবাসে
জেগে থাকে নিশাচরীর সপ্তপদী আশা...
ঘুম ভাঙা মাঝরাতে কান পেতে শোনা
দূরগামী অজানা পথচারীর রেখে যাওয়া কিছু একান্ত গোপন দীর্ঘশ্বাস;
কল্পনার ভাঁজে ভাঁজে গুঁজে রাখা গোপন কোনো অব্যক্ত কামনার
আগল খুলে বেরিয়ে আসার দুর্দান্ত অজানা চারণ।
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব থেকে বহুদূরে যাত্রা করা
পথহারানো কোনো নাবিকের,
খুব যত্নে লিখে যাওয়া রোজনামচায়...
আমার আনন্দের ক্ষণগুলো ঘুমিয়ে সেখানে;
মুষ্ঠিবদ্ধ দু’হাতের তালুতে রেখে দেওয়া আলুথালু কল্পনার হাজারো স্পন্দন।
দুঃস্বপ্নের অনাহুত অনুপ্রবেশের দ্বারে উর্বরা স্বপ্নের শক্ত বাঁধে,
আমার নিজ হাতে গড়ে তোলা দ্বিতীয় বাসর...
প্রতিরাতে আমি শিহরিত হই যার প্রেমসিক্ত আলিঙ্গনে।
প্রতিভোরে আমি উদ্ভাসিত হই তার আগমনীর আগাম সুরে,
আমার সৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে রাখা তার প্রতিটি উচ্চারণ, আমার অস্তিত্ব, আমার অন্য সত্ত্বা...