ভেসে চলে এক নৌকা নদীতে রক্তের স্রোতে,
হঠাৎ করে নরমস্তক ভর্তি নৌকা থেকে যায় পড়ে
একটি মস্তক, যা ভেসে গিয়েছিলো স্রোতের টানে
নদীর কিনারায় কোনো নুড়ির পাশে ধাক্কা লেগে ।

এ কবিতা পড়তে হলে তোমাকে হবে মৃত ফসিল !

এ কবিতার ছন্দ এসেছিলো ভেসে  
কোনো উপজাতির অকালমৃত্যু
কন্যাশিশুর শবযাত্রার মরাকান্না হতে,

ঘুমের মধ্যে শুনি সে গান
চাপা পড়া লাশ হতে  ভেসে এসেছিলো যে গান ।

মধ্যরাতে দূরের ল্যাম্পপোষ্টের আলোর নিচে
ছুটে যায় বৃষ্টি টপ-টপিয়ে ভূমির দিকে,
ঘুমায় না যে ল্যাম্পপোস্ট শত আবেগঘন বৃষ্টিতে
আমি তার ই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম অন্ধকারে !

টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো শিশুটির মস্তক হায়েনার দল
হটাৎ চোখে চোখ পড়তেই মস্তক ফেলে
দৌড়ে পালালো বনে ।

সাধক তুমি আমায় দিতে চেয়েছিলে সুধা, কিন্তু হায়
না ছিলো তখন তোমার সুধা নেবার পাত্র ।
সাধক তুমি ঢালো তোমার সুধা পারো যতো পারো
আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি অপেক্ষায় হাতে নিয়ে
শিশুটির করোটি !

কি শিশুটাকে দেখতে আমার মতোই লাগছে?
নাকি আমার কোনো যমজের মতো লাগছে ?
২০০২ সালের এপ্রিলে আমার তো যমজ ছিলো না!
কি শিশুটিকে চিনতে পারেছো তো ?