কালো রডের বন্দি কারাগারে
অনন্তকাল ধরে অস্ত যাওয়া সূর্য
বার বার শীতল বাতাসে ওঠে জ্বলে
রক্ত চুইয়ে পরে থেতলে পড়া লাশ হতে।
সে রক্তের ঘ্রাণ থেকে জন্ম নেয়
আঁধারে গিলে খাওয়া স্মৃতি রেখা,
শিশিরে মিশে আছে শত শত বীজ
তোমার কোমল পায়ে বিঁধে না তা
শক্ত কর্কশ পায়ের জন্যই সৃষ্ট সে বীজ।
তারা সবুজের মাঝে আঁধার মিশিয়ে
সোনালি করে তোলে তাদের চেতনা
পৃথিবীর সবুজের উপরে তাদের দেখা
সূর্যের কড়া তাপের এক মহা সাগর।
আমি তপ্ত মরু বালুকায় শুয়ে দেখি
সে শিশির জমা সবুজ ঘাসে মিষ্টি
এক রোদের আভা ছড়িয়ে পরছে!
বহুদিন হয়ে গেলো তো পৃথিবীর বয়স
আদি অন্তে মোড়ানো তার আয়ুষ্কাল।
এ নরকে এসে দেখি পুড়ে চলছে কবিতা
তার সুন্দর পৃষ্ঠা বললো, অনন্ত কাল পুড়ে
চলা এ কবিতা সেদিন ই শেষ হবে যেদিন
শেষ হবে মানব জাতির শেষ রক্ত বিন্দু টুকু।