তরী টলমল,আঁখি ছল ছল
এ তুফান ভারী হায়।
মাঝি তোল পাল, হাতে নাও হাল
সময় বহিয়া যায়।
জীবন সন্ধ্যা আসিছে ঘনিয়া
আঁধার হল যে প্রায়।
এবার সময় গোধূলি বেলার
নিশি বুঝি ছায় ছায়।
হে জোয়ান জাগো, ঘুমিও না ওগো
হাতে নাও হাতিয়ার।
আসিছে তাড়িয়া কেশর নাড়িয়া
মানুষ রুপি জানোয়ার।
নরপশু ওরা শিং লেজ ছাড়া,
মানুষের রক্ত চায়।
পশুদের তরে মানুষেরে মারে
পুজিবার লাগি হায়।
পশু দেবতা আর, মানুষের বলি,
নারীদের সাথে অনাচার।
মানুষে মানুষে কলহ-বিবাদ,
করে ধর্মের ব্যবহার।
ওঠো হে যুবক জাতির লাগি
দামামা বাজিয়া দাও।
দাও ঝংকার তোলো হুংকার
আমামা বাঁধিয়া নাও।
করাঘাত কর ঊষার দুয়ারে
প্রভাত আনিয়া দাও।
আকাশে বাতাসে মুখরিত কর,
বিজয়ের গান গাও।
এই জাতির রবি উদিবে আবার
আলোকিত হবে দেশ।
আপন রক্তে জ্বালাও প্রদীপ
তব আনো উন্মেষ।।
  
     ❇️❇️(কবিতাটি নিতান্ত সমাজে সম্প্রীতি ও শান্তি স্থাপনের জন্য। এবং যারা জাতিভেদ ও বর্ণভেদের মাধ্যম দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা ও হিংসাপরায়ণতার প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে। কবিতার মূল মর্মবাণী হল এই যে"হে জাতি এসো আমরা জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে একটি সম্প্রীতিমূলক সমাজ গঠন করিএবং সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা মুলক কার্যকলাপ কে কঠোর হস্তে দমন করি"।কারণ,সমাজে শান্তি কেবলমাত্র সম্প্রীতি ও ভালবাসার মাধ্যম দিয়েই গড়ে ওঠা সম্ভব, হিংসা-বিদ্বেষ ও নিপীড়নের মাধ্যমে নয়।)❇️❇️