(মূল কবিতা: আল্লামা ইকবাল)
একটি শিখা, সেজে উঠেছিল আলোয়
আলোকসজ্জার রাতের সেই আসরে।
একটি পরাণা ছিল উন্মাদ-উদ্ভ্রান্ত,
হারিয়ে গিয়েছিল আমার রূপকথায়।
বলল, "আমি ভুলে গেছি সৌন্দর্য,
ভুলে গেছি প্রেম আর উন্মাদনাকে।
কখনো দগ্ধ করি ক্ষত-বিক্ষত হৃদয়,
কখনো দূরে ঠেলে দিই সুধার পাত্রকে।"
শিখাটি বলল: "ওহে হৃদয়কাড়া কবি!
তোর সভার ভাগ্যে নেই সে অগ্নিকণা,
আর না আছে তেমন দীপ্ত প্রখর প্রভা
যা জ্বলাতে পারে আমার অন্তরকে।
আমি তো জ্বলি,কেননা জ্বলনেই
আছে আমার অস্তিত্বের আত্ম প্রকাশ।
তুই কি জ্বালাতে পারবি নিজের
আত্মার সেই নীলকান্ত মণি?"
তারপর আলোর কাতারে কাতারে
ছড়িয়ে পড়ল উদ্বেলিত অগ্নি শিখা,
শিহরিত হয়ে উঠলো আলোর লেলিহান।
দগ্ধ হৃদয় নিয়ে কবি বলে উঠলেন:
"সত্যের আলো, ঈশ্বরের শিখা
নিষ্প্রভ করিতে কে পারে?
রক্ষক যার হয় বিধাতা স্বয়ং
কে জন মুছিবে তারে ?"