চন্দ্ৰমার লাবণ্যে বিমুগ্ধ হয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে উঠে এক কবি,
তাহাজ্জুদে স্বপ্ন দেখে তার চেয়েও সুদর্শন মোদের পেয়ারা নবী।
নবীর মৃদু হাসিতে লুটিয়ে পড়ে চাঁদ, নিভে যায় রবির জ্যোতি,
দুরুদ মুখে লেগে থাকে তাঁর, প্রার্থনা শেষে ছড়ায় নবীর স্তুতি।
রাসূলের জীবনই আদর্শ, সূরা আহযাবে বাতলে দিয়েছেন রব,
আখলাকে হামিদার সিন্ধু ছেড়ে কোথা তুমি মুসলমান, করেছ কি অনুভব?
উহুদের প্রান্তরে দাঁত, তায়েফে নবী— রক্তে সিক্ত হয়েছিলেন কাদের জন্য?
কৈফিয়ত দাও, নবীর আদর্শকে আঁকড়ে তুমি হয়েছ কি মহাধন্য?
নাকি ভুলে গিয়েছ নবীর আস-সিরা আন-নবুবিয়া, পরে পাপের পোশাক?
মিযানের পাল্লায় যেদিন দেখবে সেই বসনের মাশুল শূন্য, হবে তুমি নির্বাক।
বসুমতি তো পাপের বসন, আস-সিরা আন-নবুবিয়াকে করো না কভু খর্ব;
দয়াল নবীর দেখানো রাহে যদি চলতে পারো হে মুমিন, হবে তুমি মানব জাতির গর্ব।
কিয়ামতের ময়দানে উম্মাতি, উম্মাতি বলে সেদিন দেখো নবীই হবে আপন,
চলো প্রতিজ্ঞা করি নবীর আদর্শকে জীবনাদর্শ করে কাঁটাব মোদের জীবন।
~ সমাপ্ত ~