একদা হাটতেছিলেম, এই বাংলার প্রান্তরে
ক্ষুদ্র দেহ আর বিষণ্ণ অন্তরে।
বাঁক পেরতেই দেখি সেথা অপূর্ব এক ছবি!
মোর পানে চাহিয়া রয়েছেন
মোদের বিশ্বকবি
করিলাম চরণস্পর্শ
চাহিলাম তাহার শীষ
কহিলাম তারে আমি আপনারই পথের
এক ক্ষুদ্র শিক্ষানবিশ
বলিলেন মোরে দিলেম তোরে এই আশীর্বাদ
চবন যেন চলে তোর
দিবা থেকে প্রভাত
কিছুদুর হাঁটিয়া
দেখিলাম সেথা অস্ত যাইতেছে রবি
আকাশ পানে চাহিয়া রইয়াছে
বিদ্রোহী সেই কবি
দাড়াইয়া সেথা
দেখি ডাকিতেছে বুলবুল
নিরব ভাবে
কবি রইয়াছেন তাহাতে মশগুল
সন্নিকটে গিয়ে আমি সেথা
তাকাইলাম তার পানে
হাতদুটি তার প্রান দিয়েছে
কত কবিতা আর গানে
শুধাইলাম তারে
দেখ কি হে কবি
আবির রং দেখাইয়া দিয়া
অস্ত যাচ্ছে রবি
কবি কহিলেন
হে নবিশ
হাঁটছ কেন হেথা
পাইবে নাকো
আনন্দ কভু
পাইবে কেবল ব্যথা
কহিলাম তারে,
জীবনটা মোর
বিষণ্ণতায় ভরা
কবিতার বৃষ্টি
মোর মনে
কাঁটাইতেছে খরা
দিনটি ছিল
বসন্তের প্রারম্ভ
মাসটি ছিল মাঘ
কবি মোরে বর দিলেন
হতে পারি যেন
পদ্যের একটি বাঘ
হঠাৎ
সামনে দেখি
ওঃ মা
এ যে
ধানসিঁড়ি নদী
জীবনবাবু বসিয়া রয়েছেন
পাতিয়া একটি গদি
ঐশ্বর্য তাহার
একটি মাত্র
তাহা হইল প্রেম
পার্শ্বে তার বসিয়া রয়েছেন
নাটোরের বনলতা সেন
কাছে ডাকিয়া
তিনি কহিলেন দিলাম
আশীর্বাদ
তোমার লেখায়
ঝরবে সদা
ছন্দের প্রপাত