পান্নাবালা,
সেদিন বৃষ্টির পানি জমা ভেজা
ঘাসক্ষেত মারাচ্ছিলাম, তুমি ফোনে ছিলে।
বলেছিলে, তোমার দেয়ালে ঝুলছে সাদাত হোসেনের লেখা "আমাকে হারাতে দিলে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিতে ছেয়ে যাবে তোমার শহর"।
আমি বলেছিলাম, "তোমাকে হারাতে দিলে হয়তোবা পরাজিত হবে আমার পৃথিবী"।
কিন্তু তুমি ইচ্ছে করেই হারিয়ে গেলে।
মারিয়ে গেলে হৃদয়।
ছাড়িয়ে নিলে সকল বাঁধন।
আমি থমকে গিয়েও ছুটলাম মরিচীকার পিছু
তোমাকে হারাতে দিতে চাইলাম না খুব সহজে।
আপন করে পাবার জন্য ব্যকুল হতে লাগলাম প্রতিনিয়ত।
একসময় পাগলপ্রায় হয়ে গেলাম।
হজম করলাম কত সহস্র গালাগাল।
তবুও তুমি হারিয়ে গেলেই।
কত দিন ক্ষণ মাস হিসেব কষেছি,
উত্তর আসেনি তোমার।
ফোনকল কিংবা চিঠিও না।
নিরাস হতে লাগলাম প্রতি মুহুর্তে।
ঠিক তখনই মনে হচ্ছিল আমার পৃথিবী হয়তো পরাজিত হতে চলেছে। সাথে আমিও হয়তো।
আমার যখন ভ্রম কাটলো,
বুজতে পারলাম আমার বিন্দুমাত্র ত্রুটি ছিল না
পাবার আগ্রহেও ছিল না ঘাটতি
তবে কেন পরাজিত আমি হব?
আমি তোমায় ভুলতে চেষ্টা না করে,
পান্নাবালা নামক পিনটাকে হৃদয় থেকে বের করার বড্ড চেষ্ঠা করলাম।
আমি ব্যর্থ হলাম।
পান্নাবালা নামক পিন আটকে রইল বুকের অনেক ভিতরেই।
শুধু ভালবাসাটুকু মরে গেল।
উবে গেল সকল সম্পর্ক, প্রেম, রাগ, অভিমান।
এখন পান্নাবালা কেবলই একটি শব্দ
আমার হৃদয়ে যার অস্তিত্ব অমলিন।