টিউশনি কি আর চাট্টিখানি কথা
যেনতেন ছাত্রী পড়াতে আবার
যেতে হয় তাদের বাড়ি বাড়ি সাথে সাথে।
নোটস তুলে দিই তারপর ওদের হাতে হাতে।
মাথায় যে তাদের শেয়াল মামার বুদ্ধি
পড়া তবুও আসেনা তো ছাত্র ছাত্রীর মুখে,
লিখতে দিলে বানায় হযবরল অষ্টরম্ভা
থাকতে দেয়না টিউটরদের এতটুকু সুখে।
হিসাব বুঝে বলতে হয় অনেক কথা
দেড় ঘন্টার টিউশনেই ঘাড়ে ধরে ব্যথা,
তার মাঝে করি সহ্য ছাত্রের অসহায়য় চাহনি
লিখতে না পারলে করি তাদেট চরম হয়রানি।
কিছু ছাত্র আবার হয় সোনায় মোড়ানো
বাবা মা শিক্ষকের বাধ্যগত সন্তান,
টিচারের আগেই পড়ে নেয় কত অধ্যায়
পরীক্ষায় পেয়ে যায় সর্বোচ্চ সম্মান।
তবে কিছু চিজ কখনো না দেখিয়ে সচেতনতা
করে ফেলে আচমকা ভাল রেজাল্ট,
মাঝে মাঝে দেখে এসব আচমকা চমক
গুলিয়ে যায় মাথায় কোনটা চিনি কোনটা সল্ট।
তারপর ও হাজার কয়েক টাকায়
করিয়ে যাই এসব বাহারি টিউশনি,
নিজের টাকায় নিজের জীবনটাকে
গড়তে হবে একদিন এটা ভাল জানি।
মজার খাবার পচা খাবার
সব থাকে ছাত্রের বাসার মেন্যুতে,
টাচ করি একটু একটু বেছে
তাতেই যায় সব ক্ষিদা মিটে।
এত খাটুনির পর যদি হয়
ছাত্রের ভাল ফলাফল,
সম্মানীর কথা সব যায় ভুলে
চোখে এসে যায় তখন আনন্দের জল।