ভুলা যায়না কিছু স্মৃতি
মুছা যায়না কিছু দৃষ্টি
হঠাৎ যখন পড়ে ঝুমঝুম বৃষ্টি
মনে হয় এ কি এক অপূর্ব সৃষ্টি
বৃষ্টিস্নাত এক সন্ধ্যায় অপ্রত্যাশিতভাবে
খেয়ে যাওয়া এক আচমকা ধাক্কা
ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিল অন্য বাকে
আমাদের দুজনের রিলেশন তখন যেন পাক্কা
তখন খুজছিলাম আমি শহরে
পছন্দের এক মনমত পাত্রী,
হয়ে গেল ততদিনে পঞ্চাশখানেক বায়োডাটার আদানপ্রদান
মাথায় ঘুরছিল বিয়ের পোকা দিনরাত্রি।
এমন সময় সে সন্ধ্যার বিস্ময়কর ঘটনা
বদলে দিল সব সমীকরণ
বাসায় বলে দিলাম সরাসরি
এ মেয়ের সাথে গড়ে বৈবাহিক সম্পর্ক
করব নিজের এক অাকাঙ্খিত ইচ্ছাপূরণ।
ছিল মেয়েটি সাধারণের মাঝে
এক অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা
মেকআপের বাইরেই দেখে তাকে
চমকে গিয়েছিলাম এটা ভেবে
তার চেহারা যে বড্ড নজরকাড়া।
অনেক পিছু নেয়ার পর সেদিন জেনেছিলাম
শিক্ষাগত যোগ্যতায় মেয়েটি একটু সাদামাটা,
ফ্যামিলি তার একদম মধ্যবিত্ত
হিসাব থেকে কি তবে সেও পড়বে কাটা।
এত আর ভাবাভাবিতে না গিয়ে
হৃদয়কে দিলাম এক পাক্কা সুযোগ,
মনের ইচ্ছাপূরণে অর্থবিত্ত নয় বাধা
মাবাবাকে বুঝিয়ে দিতে হবে এই বিবাহের যোগ বিয়োগ।
অবশেষে দিনক্ষন একটা মেনে
গেল আমার বাবা মা মেয়েটির বাড়ি
সব শুনে আলাপ করে শেষমেষ
দিতে চেয়েও দিলনা আমায় কোন ঝাড়ি।
ঠিক হয়ে গেল এই রিলেশন
মিলে গেল স্থুল আর সূক্ষকোণ
মনের কানেকশনের জয় হল একবার
খুশি হলাম আমরা অসীমিত পরিমাণ।
মেয়েটি ছিল সংরক্ষণশীল স্বভাবের
তাই তাকে সম্মান করতাম ভারী
মাঝে মাঝে পড়লে তার চোখে জল
চেষ্টা করতাম তাকে হাসাতে কাড়ি কাড়ি।
এভাবে চলতে থাকে আমাদের
কাছে আসার সেই মজার গল্প,
একদিন আবার এক হঠাৎ বৃষ্টিতে
ভিজে নিলাম আমরা অল্প স্বল্প।
সেই একই জায়গায় আবার গিয়ে
স্মরণ করাতে তাকে আমার প্রথম ভাল লাগার দিন
তার মিষ্টি সেই রাগের মুহূর্ত
আজও আমায় টানে একই ভাবে
যেন স্মৃতিগুলো বড্ড অমলিন।