আমরা কিছু অসহায় ছাত্রছাত্রী
রিটেকের চিন্তায় কাদছি দিনরাত্রি
লম্বা লম্বা কোডিং পারিনি করতে
স্যার ও তাই চাইনি আর টেনে তুলতে
দিয়ে দিলেন বড় বড় দুটি আন্ডা
পরীক্ষার a4 খাতার মাঝে
রিপোর্টে আসল রিটেক
কিভাবে বাড়ি ফিরি সন্ধ্যা সাঝে
আব্বু দিবে শুরুতে এক ঝাড়ি
হয়ত দিবেন একটা থাপ্পর মেরে
বলবেন চলে যা ঘর থেকে
তোর সব স্মৃতি এখানে ফেলে রেখে
যেখানে খুশি বিদায় হও
আর জ্বালাসনা আমার টাকা পয়সাকে
তোর যন্ত্রণায় অ্যাকাউন্ট আজ থাকে প্রায় যে ফাকা
দূর হলে এখান থেকে তুই
সেই অ্যাকাউন্টে বাচবে অনেক টাকা
তা নিয়ে সুখী হবে চারজনের পরিবার
পঞ্চম অবাঞ্চিত এই আমি
কখন যে ফিরব নিজের নীড়ে আবার
নাকি বিয়ে করে হব ঘরজামাই
হয়ে যাব শ্বশুরের সুপারস্টোরের দোকানী
খালি হিসাব করব টাকা
আর পাব হাজার ক্রেতার দেখা
৩০% শেয়ার নিবে এই ঘরজামাই
বদলাবেনা তো তার হাতের রেখা
বউ যদিও সুন্দরী আছে
তবুও সে বড়ই মেজাজী
খালি বলে করব শপিং
টাকা দাও এখনই যাব কাপড় বাজারে
আমি অবশ্য পারিনা কাদতে
ভুলে গেছি ততদিনে বাবার কথা
নতুন এক বাবা পেয়ে
বানাতে চাই নতুন রূপকথা
যদি আপন বাবা না নেয় মেনে
তবুও তিনি সব যাবেন জেনে
সুন্দরী বউকে ঘরে না তুলে
মা কি পারবেনা নিতে সব মেনে
বোনদের নড়বে একটুও হৃদয়
তাদের সেই দুষ্ট ভাইটির জন্য
রিটেকের তরে যে হারিয়েছে পরিবার
শ্বশুরবাড়িকে করেছে যে ধন্য
লাভ হল যদিও শ্বশুরমশায়ের
আমার ও কি কম হল
এখন কামাই দশ হাজার
পড়ে কি পারবনা ব্যবসা বাড়িয়ে
করতে পঞ্চাশ ষাট সত্তর হাজার।
শুন তবে কিভাবে হল আমাদের বিয়ে
মেয়েটিকে বাচিয়েছিলাম রেললাইন থেকে
ভালোবাসা দিবসের রাতে
করতে চেয়েছিল মেয়েটি আত্মহত্যা
আমি তাকে করেছিলান রক্ষা
বিসর্জন দিইনি আপন সত্তা
খুশি হয়ে তার বাবা মানল সেই বিয়ে
এখন আমি দারুন খুশি নতুন ফ্যামিলি নিয়ে
আপন বাবাকে একদিন মিটিয়ে দিব
ভার্সিটির যত পাওনা টাকা
ইকমার্স চালিয়েও করছি ইনকাম
বউয়ের খুশি তো বড়ই টাটকা