কপোতাক্ষ নদ এর ছায়াদ্বীপ ইছাপুর গ্রামের সকালটা আজ অন্যরকম ।
ইছাপুরের সকালটা আজ হাসি-কান্নার গ্রাম-গাঁ ।
লাল সুতা খালি পা, সাবধানের পর আরামের গতর- গা ।

ভোরের ছায়াছায়া রক্তিম আভা,
আজ মনে করিয়ে দিচ্ছে, বৃত্তাকারে চক্রাকার শকুনমুক্ত থাবা ।

থ্রি নট থ্রি এর মস্তিষ্ক বিকৃতি ধ্বনি,
আজ মনে করিয়ে দিচ্ছে, নূর মোহম্মদ এর ছেলে নূরগনি ।

অথচ এই নূরগনিকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে
যখন চোখদুটি উপড়ে মারা হয়েছিলো,
তা ও দু’মাস আগে অক্টোবর, দ্বারা-দিয়া-কর্তৃক পাক- হানাদার ।

মুক্তি বিরোধী পাক-জামা, রাজ-সামস্ জিন্দাবাদ ।
মুক্তিকামী জনতার পুথি মুক্তি চাই, মুক্তি চাই ।
কাঁধে কাঁধ হাতে হাত ।

এই হাত নূরগনির বেয়নেট এর ক্ষতবিক্ষত হাত ।
এই হাত নূরগনির তিনমাসের কন্যার পরশ বোলানো হাত ।
এই হাত পরম মততায় শস্য ফলানোর হাত ।
এই হাত সম্ভ্রম রক্ষাতে প্রতিবাদী হাত ।

বিজয়ের উল্লাসে, বিরহের বর্ষায় তুমি মেঘ ।
মুক্তির আনন্দে, হতাশার আলোয় তুমি ছায়া ।

তুমি আশা, তুমি আলো, বাঙালির আয়না।
বিজয় দিবসে তাই বাঙলার হাসি-কান্না ।