আবেগের নদী ।
কবির চিন্তায় আছে চুম্বকীয় বল
চতুর্দিকে দৃশ্যাবলী,পাখীর কাকলী ,ইঞ্জিনের শব্দ
বা বাসমতী চালে ধোওয়া কিশোরী মেয়ের হাত
চোখের পেছনে এক চিত্রমালা মেলে ধরে ।
সেই চিত্র থেকে উঠে আসে এক একটি রেখা
অক্ষর সৈনিকেরা শব্দের মালা গাঁথে কবির লেখায় ।
চুম্বকীয় রেখা কোন শব্দ ,কোন,ছবি,কোন,তরঙ্গ,
কোন,আবেশ কবির হৃদয়ে তোলে ঝড় ।
পাখীর ডানার শব্দের মতো কবির কবিতা হয় উত্তর আধুনিক ।
কবির ব্যখ্যা নেই কোন্ ছবি ,কোন্ বানী
হৃদয়ের উৎস থেকে হয়েছে মূর্তিমান ।
পাঠকের বড় দায় তাকে বুঝতেই হবে কবির বেদনা
ভরা বিশেষ সম্ভার ।
নাহলে তার শিক্ষা,বুদ্ধির গরিমার থাকেনা গৌরব ।
মাকড়সার জালে ঘেরা তার সব অদ্ভূত বাণী
পাঠক সুরভিত অতৃপ্তির দোলানীতে নাকনী চোবানী ।
কবির অহঙ্কার বেড়ে যায় বাড়ে তার লেখনীর গতি
চুম্বকীয় আবেশ থেকে প্রত্যহ নির্গত হয় আবেগের নদী ।