কতদিন দেখা হলো আমাদের
কত পথ একসাথে, একধারে
আমাদের কত কথা মিলিয়ে গেল
কাশফুলদের লা'শঘরের অগোচরে!
শুধু বলা হলো না অমৃতা,
বলা হলো না ক্রুশবিদ্ধ ঐ প্রাচুর্যের কথা
নিমেষেই পালটে গেল তোমার নিরবধি প্রাপ্তিকার প্লট,
ফিরিয়ে নিলে তোমার ম্লান হাসি, ফিরিয়ে নিলে নিজেকে;
ফিরিয়ে নিলে তোমার হাত, নিঃশ্বাস আর প্রেরণা!
তোমার দেহ পেয়েছে নতুন আলোর স্পর্শ, জানি
মনে কি পড়ে আমায় হুটহাট, কদাচিৎ একটুখানি?
আলো ঘিরে রেখেছে প্রলয়, মেতেছে নতুন রঙে
আঁধার নামলে ভয় কি পাও, খোঁজ কি আনমনে?
নতুন আলোয় তোমার চোখ ধাঁধিয়ে যায়, বোঝা যায়
একচিলতা আলোর প্রচ্ছায়ায় কৃষ্ণচূড়াও মুখ ঘুরায়।
কি যে এক অবাক বিষ্ময় কৃষ্ণচূড়ার চোখের ভাঁজে,
যাতে দেখতে পাবে অন্ধকার দক্ষিণের আকাশে
— সম্পৃক্ত কুয়াশা,
মেঘ
আর বালুচর।
আজ কোথায় তুমি, কোথায় তোমার রেণুদের দল?
কে হও তুমি আমার, আর আমি বা তোমার কে?
— নিদারুণ পৃথিবীর এক আশ্চর্য হেয়ালিকা!
চাইলেই আমি হতে পারি
তোমার তীব্র শখের প্রেমিক
চাইলেই তুমি হতে পারো
কোন মৃতপ্রায় গাছের শালিক
চাইলেই হতে পারো আমার প্রেয়সী
কিছু বিন্দু বিন্দু জল,
হতে পারো এক সুন্দর প্রেমিকা
অনাগত নিশ্চল
কেন এত ব্যবধান আমাদের মাঝে, জানিনা
আমায় তুমি মরিচীকাই ভাবলে, অতকিছু আ'র চাইনা
তুচ্ছ এক হেয়ালিকারে কি আর ভালবাসা যায়না?
মাঝগ্রীষ্মে শালিকপাখির বায়না,
মরুভূমির একপ্রান্তে থাকবে
— শুধু তুমি, কৃষ্ণচূড়া আর আয়না!
কিছুদিনের'ই ব্যবধানে, আমরা এত দূরে
কেন তাতে আমার এত আসে যায়?
তবুও তুমি হতে পারতে সুবাসিত ফুলের রূপসী
মিষ্টি আঙুলের স্পর্শতৃষ্ণায় সুন্দর'তম নারী
যার গাল বেয়ে গড়ে পড়তো অনন্য স্পৃহা;
হলে না!
আর কেন'ই বা হবে
কেউ হই আমি তোমার, আমি'ই বা তোমার কে?
আজ সে মরে গেছে, সুবাসিত জল
আয়সের হৃদয় হতে ঘৃণ্যের আস্ফালন।
অকৃতজ্ঞ মানুষের বসবাস পৃথিবীর
মনোমুগ্ধকর সঞ্চারীকায়!