ঘন অন্ধকারে হুঙ্কার সর্বনাশী,
রৌদ্রবিলাসী :
বাঁচার আকাঙ্ক্ষায় রিক্ত আভাসী
অগ্নিপিন্ডে পুড়ে নরক বিনাশী
রৌদ্রবিলাসী,
তুমি কি দেবে না আমার সাথ?
এই একরাশ অজুহাত,
যার ভার পিষে ফেলেছে আমাদের স্বপ্ন
আর প্রণয়কে করেছে প্রলয়।
যে বিষ্ময় আজ তুলেছে দেওয়াল,
রুখে দিয়েছে অনুরক্তির প্রাঙ্গন
আর রেখে গেছে আমায়
একা,
বেধে দিয়েছে নিঃসঙ্গ অন্ধকারের বীভৎসতা।
সে অন্ধকার বয়ে এলো
গ্রাস করলো
তোমাকে, আমাকে, আর ওই রেণুর সুবাসকে,
তারপর ছুড়ে ফেলে দিল আলোকবর্ষের দূরত্বে।
এবার এ অন্ধকার না আসুক,
না হতে চাই আর নিখোঁজ,
না পুড়তে চাই, পোড়াতে চাই,
আজ সূর্য রয়ে যাক দিগন্তের এপারে।
— আমি তোমাকে খুঁজেছি অনেক, জানো?
আমি তোমাকে খুঁজেছি মেঘের আড়ালে, পাহাড়ের তলদেশে,
বাদ রাখিনি সমুদ্র, নদী আর বাতাস,
জলস্রোতের প্রখর ঢেউয়ের আঘাত সহ্য করেছি,
শুধু তোমাকে আরেকবার, শুধু আরেকবার দেখব বলে।
— তোমাকে দেখব বলে পড়ন্ত সন্ধ্যায় ঘর ছেড়েছি,
আর ফেরা হয়নি,
রাত কাটিয়েছি নিদ্রাহীন,
ওই নক্ষত্রেরা সাক্ষী,
আমি তোমাকে খুঁজে চলেছি, বহুকাল ধরে!
যদি সেদিন সূর্য অস্ত না যেত,
তবে কি তুমিও কাছে থাকতে?
যদি হারানো প্রণয় আজ ফিরে আসে,
তবে তুমিও কি আসবে ফিরে?
আর কত অপেক্ষা?
চেয়ে দেখো,
এক রক্তাক্ত গোলাপ হাতে
তোমার পথের দিকে চেয়ে আছি।
যদি,
যদি পুড়ে যায় এই তৃণলতা
রৌদ্রের দাবানলে,
তবে?