আকাশ কিরণ, পদধ্বনি
তোমার স্পর্শে
আনুষ্যের রঙ দিয়ে যায় হাতছানি;
অনন্য তুমি, অনন্যা
দাও খোলা ডানাদ্বয়ের তীব্র ঝাপটানি ওই দক্ষিণ মেরুর কোলে!

আর নেই কোন ভুল, নেই হতাশা, নেই গ্লানি-বিষাদী সূর্য
তোমার স্পর্শ পেয়েছে মুক্তি, তুমি দেখবেনা আর তুর্য,
দেখবেনা তুমি আমার পুরনো তন্ত্রপুরের উচ্ছ্বাস।

তোমার চুলের ঘ্রাণে, সময় তখন স্থগিত
যেন দানবীয় হয়ে উঠেছে ঢেউ
নক্তের নদে দিয়েছো পারাপার
তাহা জানতে পারেনি কেউ;
দিয়েছো অন্ধকারের গ্রাসমাখা কোন উজ্জ্বল আবেগ বিলাস
আমি ভালোবেসে তারে ডাকলাম ফুল, সে করলো আমায় নিরাশ!

তোমার শীতল চোখদ্বয়ে তখন, কোন বহুরূপী অগ্নির ঝড়
দেখা যেত যাতে আলোকব্যপ্তি তীব্র ঘৃণার আস্ফালন,
তুমি চেয়েছো সম্পর্কের শেষ, আর তোমার ভাষায় মুক্তি
আজ হয়েছে কি সাধ নিবারণ? নেই বিচ্ছেদে কোন যুক্তি!

আজ মুক্ত তুমি, যাও
— দাও খোলা ডানাদ্বয়ের তীব্র ঝাপটানি আকাশ-কিরণ রোদে!
এভাবে বহুকাল যাবে পারাপার
আমি রয়ে যাব অগোচরে।

প্রাক্তনী,
তুমি বৃদ্ধ, আমি বৃদ্ধ, আজ বৃদ্ধ এ বৃষ্টি
আমাদের ওই আসক্তি ছিল কোন অদ্ভুদ এক সৃষ্টি,
তাও কেন আজও সরে না আমাদের দৃষ্টি,
পথ হতে
তোমায় দেখি না গত আঠারো'শ খৃষ্টি,
অনন্য রোদে!