বিসর্জনের মূহুর্তগুলো
মানবীয় খোলসে নিপাট সরল
যেমন সরল আলোক রেখা
উজ্জ্বল সোনালী রঙ চকচকে
শুদ্ধতার শুভ্র প্রকাশ।
যখন জন্ম মূহুর্ত তখন সরল নিষ্পাপ
দৈব প্রভাবে সজল সাজে ঘেরা
কমল প্রকাশে সৃষ্টি হাসে
সৃজন বিধাতার বিশ্ব বিকাশে৷
একাদশীর চাঁদের ফালি
শুকতারাতে হাসে
পবন দোলায় পল্লব পুলকে
সাঁঝের রবি পটে।
গগন মাঝে আনন্দ ঝরণায়
পায়রার দল ভাসে উচ্ছ্বাসে
সুন্দর লগনে জাদুময় সমীরণ
দুলিছে অন্তরকাশে কুন্তল উড়িছে
সুরভী ছড়ায়ে রঙিন ঘুড়ির পাশে
প্রাণের পরশ লেগেছে প্রাণে
শিশু খেলার ছলে আজি কেন
নিরব আঘাতে কাঁপিয়া উঠে প্রাণ
মধুর সংগীত ভেসে আসে
মোহময় বৈভব কাটে
খাঁচার প্রাণ খাঁচায় ফেরে
দুঃসহ স্মৃতি ঘেরে।
কতবার ভেবেছি বিদায় ভাবনা
দূর করি নিমিষেই পিছু ছাড়ে না
শুধু ধায় পিছে পছাৎে আমাকে ফেলে
আড়াল কথা আড়াল ব্যাথার পাহাড় গড়ে
হারিয়ে হারি মিথ্যে মুকুট পড়ে
বেলা শেষে একলা যখন ঈশ্বরীর মাঠে
অনন্ত ঐ হাতের পরশ বুকে এসে বিঁধে।