ভালোবাসার সাতরঙ আঁকে রঙধনু এ মনে
তুমি যদি থাক পাশে এই শ্রাবণদিনে।
জীবন নদীর বৈঠায় যদি লাগাও তব হাওয়া
সেই সুখেতে সুখী আমি আর নাই কোন চাওয়া।
একটি মনের কুসুম ফোটে উড়ে প্রাজাপতি
বাদল দিনে জুড়ায় এ মন মিষ্টি দিবারাত্রি।
সারা পৃথিবী হাসে ঐ ফুলের হাসির সাথে
রঙীন ফুলের পাপড়ি সব ঝরে অবহেলাতে
মনের খাঁচায় সুবাস মেশে মিষ্টি সকাল বেলা
কেউ হাসে আর কেউ ভাবে ভাবনার হাট খোলা।
পাহাড় নদী সাগর তখন নিশ্চুপ রূপধরে
শান্তমনে সদাই তারা আপন কর্ম করে।
২৩টি বছর পরে ঘুম ভেংগে গেলে দেখি
যা ছিল ভালোবাসা সব নয় খাঁটি
বিশ্রাম এখন দরজায় কড়া নাড়ে
ক্লান্তি আসে রোজ খবরে।
আবেগ ঘুমায় ঠোঁট বদলায় গোলাপি আভা কমে
পাল্টে যায় কথার রঙ অনুরাগ মুছে ঝরাপাতা দলে।
খাঁচাহীন পাখি বনে বনে ঘোরে
স্রোতে মন ভাসে কোকিল ডাকে বিরহ নীড়ে
মধু যামিনী সলাজ হাসি ভীষণ মনে পড়ে।
আবির রাঙের খেলা
এলে গোধূলি বেলা
ছবি আঁকে আপন মনে
বিরহের সুর পলে পলে বাড়ে।
সাঁঝেরবাতি নিভিয়ে দেয় আঁধার বুকে করে
শুকতারা প্রদীপ জ্বালায় নিশীথের মঙ্গল করে।
আঘাত যেন আর সহে না এ বাদল দিনে
নিত্য নুতন সম্ভাষণ কেন আসে মনে
কতদিন বাকী ফুরাতে বেলা
কত শোকগাঁথা দাঁড়াবে ভীড়ে
মনে পড়ে মোহনবাঁশি মন অন্তঃপুরে।