অতল অন্ধকারের ঘূর্ণি কেটে
সেতারের তারের মতো
ভোরের হাওয়া জড়িয়ে ধরে বৃক্ষময় শরীর
চুমুর চুমুক ছড়ায় অতল হিয়ায়
তৃষ্ণায় ভরে কুঠুরি কলস মধুময় সঙ্গম মুক্ত গহীন।
পাখির পালক খুলে ডানাময় ঢেউ তুলে
উড়ে আকাশ নদী পথে, কারা যেন রেখে গেছে
তৃষ্ণার তরঙ্গ সফেদ সহস্র যোজন দূরে আড়াল করে।
পাখির মনটি খুলে কত কথা বলে বেড়ায়
সফেদ মেঘের কোলে বৃক্ষের উচু শিরে
হিম হিম ঢেউয়ের চুপি অদৃশ্য শব্দের ঝাঁপি
মধুর সুরে ভাসে ধরণীর কানে।
পথের ধূলি তখন হিম ঢেউয়ে নিশ্চুপ
নিশাচর উড়ে গেছে রাতের গভীরে
শুনেছে সে কথা ঘুম ঘুম চোখে
উষার কোলাহলে ক্লান্ত নিরুত্তর
নক্ষত্রের শয়ান শেষে তারই নয়নে
উঠে জেগে, ব্যাথাময় শরীরে উষ্ণ ঊম লাগে
পৃথিবীর ভর বহিছে ধূলি পিঠ নীরব নিঃসীম ।
মনোময় ঠোঁট উঠে সুবাসিত ফুলময় হাসি
অক্ষয় অপলক নয়নে বেঁধে রাখি
যেখানে নীড় গড়ে খেলাঘর ছলে
সেখানে রাখি অতি সযতনে
ঝিনুক রাখে বুকে যেমন মুক্তারে।
নিখিল ভূবন মাঝে কি মধুর শৃঙ্খল
মায়ের যত্নে বাড়ে পশু পাখি জন
নদীর ও ঢেউ আছে সমুদ্রের গর্জন
ঝর্ণার কল কল বৃষ্টির টুপটাপ
অরণ্যের শোভা অতি সৃষ্টি সুন্দর।