আর পারিনা বাপু
সুগন্ধি তেল আর কত থাকে বলো
অনেকদিন ধরে অভ্যস্থ হওয়ার আবেগগুলোকে এবার বিদায় দিতে গোলাপ নিয়েছি হাতে
শিউলি গাছটাকে কেটে ফেলেছে বাড়ীর মালিক
রোজ পথের বাঁকে ফুলের বিছানা দেখে
মনটা কেমন উমা কে মনে করিয়ে দিত।
আবেগী মন সুবাসে ভরে যেত স্রোতের মত
স্বর্গীয় অনুভূতি শরীরে কেমন শিহরণ জাগাত
মনে হতো এ আমার একান্ত পাওয়া মধুবন
ভালোলাগার শরত বেলার অনুপম অঞ্জলি
প্রেমময় পূর্ণ প্রভাত অকৃপণ মহুয়া মূহুর্ত
মাথা নত হতো চন্ডীরচরণে
শ্লোক উচ্চারিত হতো হৃদয় মন্দিরে ।
হৃদয়টা কেমন ঝলসে গেল
বিশ্বাসগুলো কেমন অবিশ্বাসী হয়ে
আমাকে বোঝাতে চাইছে পোড়ানোর কষ্ট
মিছে মিথ্যে মুখ চেপে ধরছে জোর শক্তি দিয়ে
ডুবে যাচ্ছি আমি একটু একটু করে।
হারানো ব্যাথাগুলো অনুরোধ করছে
দলভারী করার কথা বলছে
এত আন্দোলন কি করে চাপা দেই
পায়ের গোড়ালিটা জায়গা দেবে বলল
কি অদ্ভুত আমাকে জানালো না।
একদিকে চড়ুইগুলো বড্ড আদর পেতে চাইছে
কানের কাছে শুধু কিচিরমিচির ডাক
উড়ে আসছে বার বার আর কি দেরী করা চলে
আমারই দায় ভালোবাসা পাইনি তাই সব ভালোবাসা
বাক্সবন্দি করে ওদের আহার দিতে হচ্ছে।
প্রেম কি শুধু মানুষে মানুষে
প্রেম কঠিন স্বার্থ পিছে
উদারতা কি লোক দেখানো
অন্তর সদা অতল রাখে।
কেমন প্রেম প্রণয় গাঁথা
সত্য মিথ্যা মায়ায় ঢাকা
অতুল আদর কপটতা
মিথ্যে মায়া মিথ্যা আবেগ মধুরতা।