নক্ষত্রেরা মরে গেছে নিশি অমাবস্যায়
আকাশ জমিনের অলক কুঞ্জে
ছেঁড়া ছেঁড়া দ্বীপের অপূর্ব সমাহার
লক্ষ্মনরেখায় পরিসমাপ্তির একাদশীর অলীক চাঁদ।  

পাহাড়ি ঝর্ণার অক্লান্ত কান্নার সফেদ ঢেউ
শরতের মৌয়াল বৃষ্টির উৎসবে স্নেহের  অবুঝ কুড়িগুলো পল্লবিত হোক শীতল মুধুরিমায়
দুর্নিবার দূরত্ব রেখে চলে অষ্টাদশী চাঁদের আলো
কুমারী মন পোড়ে প্রলয়ের অশান্ত নদীর বাঁকে
উষর ভূমিতে আগাছার উৎসব শত বসন্ত হেরে গেছে বৈরাগ্যের পথে অদ্বিতীয় মহিমায় ।

রঙিন আশা দলবেঁধে জমেছিল রঙধনুর সাতরঙে
ফুল পাখির গানে পবিত্র হৃদয়ে ঝকঝকে বিশুদ্ধতায়
ঘন সবুজের বুক চিরে আশার সোনালী কৌটাগুলো চকচক করছিল অমলিন শুভ্রতায়।
মিথ্যার নিচ পা তালপাখার বাতাসে পাখা মেলে
আশার বাধন খুলে আগুনের লেলিহান শিখায়
দগ্ধ করে কৌটাগুলো।

পুড়ে পুড়ে অসহনীয় যন্ত্রণায় জন্মে বিষবৃক্ষ
অনুপাত অনুশোচনায় সরল মৃত্তিকায়
খরাময় ফসল ফলে তীব্র দহনে।
চেয়েছিল দুহাত ফলুক অফুরন্ত ফসল
তারই ছেদ পড়ে দানের অপারগতায়
এ যেন বিধাতার অবৈধ সন্তান
অধিকারহীন উচ্ছিষ্ট অপাংক্তেয়
মানুষের মুখোশে উন্নত গেরিলার জাত।

ধন্য তবুও সৃষ্টি সুন্দর
অনন্য আতিথেয়তায় অপরাজেয়
বিবেক সন্মূখে চলে
আধার অন্তরে অন্তরঙ্গে
সব দেখা সত্যি নয়
শোনা সব ভুল নয়
মিছেকে সত্যি বোঝে
মাপকাঠি বেঁকে গেলে।