রূপান্তর ক্রিয়া-অাঘাত
-------------------

চাল ও ভাত মুখোমুখি
মাঝে দাঁড়িয়ে অাছি অামি,
এদিকে-ওদিক দেখি
কে কার চেয়ে বেশি দামি?

হঠাৎ শুরু হলো এক মহা লড়াই!
অামি বেচারা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মরছি রে ক্ষুধায়
তাই তো মিনতি করে শুধাই!
তোমরা না থাকিলে বাঙালী কী করে পেট ভরায়?

শুনো,শুনো,চাল না থাকিলে অাসতো না কোন ভাত,
ভাত না ফুটলে  চাল হতো চর্বন অযোগ্য এক অন্ন;
ঠিক এমনি করেই হৃদয়ে রূপান্তর ক্রিয়া-অাঘাত
ও সাধন জ্ঞানের পরেই ফুটে অালো ধারাবতী পুণ্য।

                            ত্রিফলা
                           -------------

(১)
ক্ষুধার্ত সমীরণে
----------------------

একটি মাছ এসে অামার বাড়ির দরজায় কড়া নাড়লো
বসতে দিলাম জলের পিঁড়িতে
ওমনি লেজ নাড়িয়ে নাচানাচি শুরু করে দিলো
বললো,দেখো মশাই,
লবণ-মরিচ ঠিকমত অাছে তো?
অার অাগুনকে জিজ্ঞেস করে নাও
জীবন দেশলাইয়ের গর্ভযন্ত্রণা কতখানি ফেটে গেলে  নিজেকে সহজেই পোড়ানো যায়?
অামি তখন স্তব্ধতার গা ঘেঁষে দেখি
বিমূর্ত রাতের ক্ষুধার্ত সমীরণে
একাকী পুরুষ শিল্পময়...

(২)
অহনা
----------

অহনা,
হৃদয়ে প্রেম জমিয়ে রেখো মৃত্যুর পয়গামে,
পারলে একবার বেড়াতে যাব
জন্মের প্রতিশোধে ফুল ফুটাতে...

(৩)
ভালোবেসে  মালা পড়াও অাবার...
---------------------------------

স্রোতে ভাসা অদৃশ্য শতাব্দ জন্ম নিবে
যখন বয়সী পাথরে অাগুন দেখে
নিজেকে ভক্ষণ করা তুমি শিখে যাবে
হৃষ্ট করপুটে পৃথিবীকে  নত রেখে...

সাদা চুমুর বুকে যত জমেছে বিষ
চাইলেই সব শুষে নিতে পারো তুমি...
কষ্টকে বোন ডেকে করো যদি অাশীষ
অাঘাত হবে অশ্রু হতেই ঊর্ধ্বগামী।

তুমি, বিজয়ী হতে শক্ত এক কুঠারে
সয়েছো যে অাঘাত,তাকে মার্জনা করো..
কণ্ঠ বেয়ে অাকাশের মতো উচ্চঃস্বরে
লাল রক্তের কাছে তুমি গোলাপ ধরো।

যে জীবন শূন্য হতে অাজ  দুর্নিবার
তাকে ভালোবেসে  মালা পড়াও অাবার...

(কখকখঃগঘগঘঃঙচঙচঃছছ)(সনেট)