পৃথিবী-সংসার যেন
ঘুণে ধরা এক জীর্ণ কাঠের অপচয়।
কেন তোমরা বৃথাই পালঙ্ক সাজাতে চাও?
জীবনের গহীণ অরণ্যে
দুখু কাঠুরিয়া জানেনা অাত্ম-পরিচয়।
পৃথিবী-সংসার বড্ড সুখের নয়,
তবু অবুঝ দৃষ্টিরা খুঁজে সত্যের পরিচয়;
বেদনাচাপা মাংসের তলে
কোন্ সুরে দেশান্তরী পাখি গান গায়?
পালকের ঝরা-কৌতুকে
ঝড়ের শেষে জীবন ফিরে পায় ব্যথার দাঁড়িপাল্লা;
স্বপ্ন খুলে মাপি অাহত সময়ের ওজন
নিজেরে চিতায় রেখে।
জানি,কালপুরুষ কখনো মরেনি;মরে না...
অমরত্বের শিখা ছুঁয়ে
নিজেকে পুড়িয়ে বেঁচে থাকে
কোটি মানুষের নিঃশ্বাসে...
তাই অামার প্রস্থানেই...
হাজার শতাব্দীর
অালোকিত দরজা খুলে
অামারই জীবনের
ঝরা-পাতায় দাঁড়িয়ে
শুদ্ধ কবিদের কলম যেন কালের শ্রোতা হয়ে উঠে শেষ কথার দূরত্বে...