শকুন্তলা,
বুক-অাকাশের নীল-নীল ছাদে
জমিয়ে রেখেছি অজানা মেঘের কষ্ট;
                                 জন্মের পারিজাত গন্ধে...

পাখি হয়ে উড়ে এসো গো।।

নিঠুর ছলনায়
            অঙ্গার হাতে ঘোর-অমাবস্যায়,
একা-একা
            দিকচিহ্নহীন সুদূরপারে...
স্বয়ং পথিক হয়ে
                     অশ্রুসিক্ত পাথুরে-পথের রহস্য-বাঁকে
সময়ের ফাঁদে
                     নিজেকে অাড়াল করে নেয়,
ভুল মানুষের ভুল সোহাগের ছায়া।

শকুন্তলা,
পাখি হয়ে উড়ে এসো গো।।

বুক-অাকাশের নীল-নীল ছাদে
জমিয়ে রেখেছি অজানা মেঘের কষ্ট;
                                 জন্মের পারিজাত গন্ধে...

অাজি,মিনতি করি ডানা ঝাপটাও!
ঝেরে ফেলো ভুবন অাঁধার
                                 বিদগ্ধ দেবতারই চরণে...

চেয়ে দেখো ব্যাধের মতোন!

শূন্যতে ঠুকর মেরে
           শূন্যতেই অাঁকা হয় "জীবনের শব্দছক"।

অাহা!
শকুন্তলা,
           অাঘাত ভুলে...
মাটির নীচে প্রাণের শিকড়
                                জাগে বিশ্ব-শোভায়।

মাঝে-মাঝে রম্যনাচে
                      হরিণী চোখের দৃশ্যেরা,
অাগুনের সুতো বুনে
                                 অাবছা কুয়াশায়।

ক্ষতি নেই!
শকুন্তলা,
           স্বপ্নকে বাঁচিয়ে,
প্রেমের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়ে মৃত্যুর বুকে
হৃদয়কে জাগাতে পারলেই,
                        প্রাণের সুরভিতে খুলে স্বর্গের দ্বার।


★উৎসর্গঃপ্রিয় কবি সোমালীনিরঝরা(মৃণালিনী)কে।