চিত্র একঃ
----------------

চোখের জলে বন্যা হলো
                  মোনালিসা,তুই নৌকো নিয়ে আয়...

আজো খতিয়ে দেখিনি জোয়ার-ভাটায় স্রোতের প্রবেশিকা
ক্ষতি কী?
পাথর ভেবে বুক পেতেছি রূপের খাদে,বেলা যায় ...
              হঠাৎ একটি পাখি নীরবে পালক ঝরায় ,
বেলা যায়...

গতর ঢাকি চিরনমস্য প্রেমের ধুলোয়,
অজানায় স্বপ্ন ছুটে আমার মরণ ছুঁয়ে;তবু আমি কোথাও নাই...
বেলা যায় …

রৌদ্র-শিখর পারে ফেলে যাওয়া ছায়ায়,
                 তোর ললিত ভাস্কর্য খোদাই করে        
চিহ্ন-মায়ায় ফুল হাতে
                 অলক্ষ্যে কে দাঁড়ায় আমি ছাড়া!
বেলা যায়...
                 রে মোনালিসা!

চিত্র দুইঃ
----------

বিমূর্ত আঁধার-----
বিষের ঘরে খুটে-খুটে পাওয়া অগণিত গোলাপের পাপড়ি,
শূন্যগর্ভে রেখে যৌবনবতী লাল-রঙা পায়রা,
উড়তে-উড়তে ছুটে চলে বন্দরে-বন্দরে।

হঠাৎ বুনো সভ্যতার জঙ্গলে
                    দু’মুখো সাপ ফণা তুলতেই
আকাশ থেকে বিষ্ঠা এসে পড়ে
                    নগর-পিতার  নষ্ট ঠোঁটে...
ওমনি বমিতে-বমিতে  
                    ভেসে যায় বিবেক ও বোধের কাল।

চিত্র তিনঃ
-----------

উজানী মাছ লাফায় দেউলিয়া বাতাসের নেশায়
শিকারী চোখ;
ছিপের গরিমায় টোপ ফেলে বিমূর্ত আঁধার ছুঁয়ে-ছুঁয়ে।

হাসে লাজুক ঢেউ;নাচে দশেরার চাঁদ।
উল্কা খসে শূন্যথালায়;আগুন ধরে কালো ছায়ায়।

অনিচ্ছায়,
মহাভারত লুকাতে চায় নগরীর নিষিদ্ধ স্রোতে …

চিত্র চারঃ
---------------

বোধের সীমানায় বিমূর্ত অাঁধার।
যৌবন-কলসে কিলবিল করছে অন্ধ পোকা;
ফেটে গেলে জল ছুঁয়ে নষ্ট হবে মুখশ্রী শোভা।

অাজ অাবার যুদ্ধ শুরু রক্তের ময়দানে,
তুমি মাংস খুলে হাঁটো পতাকার কসমে!
দেশের দুঃসময়ে...
মানবী রে সাজাতে থেকো না দিবানিশি
                                     খোপায় ফুল হয়ে...