কবি ড.সুজিতকুমার বিশ্বাসের অালোচনাটি পড়ে অামি অানন্দিত।অামি শ্রদ্ধেয় কবিকে সাধুবাদ জানাই।
ছেদ বা যতি সম্পর্কে অামার একেবারেই নিজস্ব অালোচনাটি তুলে ধরলাম প্রশ্ন ও উত্তরের মাধ্যমে। এই অালোচনা অামার অভিজ্ঞতা থেকেই করেছি।অালোচনাটি এখনই বসে বসে তৈরি করে ফেললাম।
সূচনাঃ
----------
"বেতালপঞ্চবিংশতি"নামে একটি গল্পগ্রন্থ যেটি সংস্কৃত থেকে প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।এই গল্পগ্রন্থেই বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম যতিচিহ্নের সার্থক প্রয়োগ ঘটানো হয়েছিলো।
প্রশ্ন(০১)
বিরাম চিহ্ন ব্যবহারের প্রধান উদ্দেশ্য কি?
★তাহলে প্রথমেই যেটি বলতে হয় তা হলো বাক্যের অর্থ স্পষ্টীকরণের জন্যেই অামরা বিরাম চিহ্ন ব্যবহার করে থাকি।
প্রশ্ন(০২)
ভাষায় যদি বা ছেদচিহ্ন মোট কয়টি?
★এ যাবত বাংলা ভাষায় মোটের উপর ১২ টির মত যদি বা ছেদচিহ্নের প্রয়োগ ঘটানো হয়েছে।
প্রশ্ন(০৩)
সাধারণত ব্যাকরণের কোন্ অংশে যদি বা ছেদ চিহ্ন নিয়ে অালোচনা করা হয়?
★ব্যাকরণের চারটি মৌলিক অালোচ্য বিষয় অর্থাৎ ধ্বনিতত্ত্ব,শব্দতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব অার অর্থতত্ত্বের মাঝে একমাত্র বাক্যতত্ত্বেই যদি বা ছেদ চিহ্ন নিয়ে অালোচনা করা হয়।
প্রশ্ন(০৪)
বাংলা ভাষায় ব্যাকরণিক চিহ্নগুলি কি কি?
★বাংলা ভাষায় প্রধানত চারটি ব্যাকরণিক চিহ্নের প্রয়োগ দেখা যায় যেমন---
(১)টিক চিহ্ন
ধাতু বুঝাতে সবসময় টিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, যেমন স্থা একটি ধাতু।
(২) (<) চিহ্ন
পরবর্তী শব্দ থেকে উৎপন্ন হলে (<)চিহ্ন ব্যবহৃত হয়,যেমন জাঁদরেল<জেনারেল
(৩)(>) চিহ্ন
পূর্ববর্তী শব্দ হতে উৎপন্ন হলে (>) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়,যেমন গঙ্গা>গাঙ
(৪)(=) চিহ্ন
সমানবাচক বা সমস্তবাচক বোঝাতে (=) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়,যেমন নর ও নারী=নরনারী
প্রশ্ন(০৫)
বিরামচিহ্নকে ইংরেজীতে কি বলা হয়?
★বিরামচিহ্নকে ইংরেজীতে বলা হয় Punctuation Mark
প্রশ্ন(০৬)
অাসলে বাংলা সাহিত্যে বিরামচিহ্নের প্রয়োজন কি?অর্থাৎ এই বিরামচিহ্নের প্রয়োগ শিখে অামাদের কি লাভ?
★সর্বপ্রথমেই বলতে হয় বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করার জন্যেই বিরামচিহ্নের প্রয়োজন।মনের ভাব প্রকাশের জন্য অামরা যেসব বাক্য তৈরি করি তা যেন যথাযথভাবে সঠিক অর্থ কিংবা ভাব প্রকাশ করতে সক্ষম হয় সেজন্যেই বিরামচিহ্নের প্রয়োগ অনস্বীকার্য।
অামরা যদি একের পর এক বাক্য রচনা করেই চলি কিন্তু চিহ্নের প্রয়োগ না ঘটাই তাহলে মূল অর্থ ব্যাহত হয়,জগাখিচুড়ি লেগে যেতে পারে।তাই অামাদের প্রত্যেকের উচিৎ বিরামচিহ্নের সঠিক প্রয়োগ অাত্মস্থ করা ও শিখা।
প্রশ্ন(০৭)
বাক্যের শেষে ব্যবহৃত বিরাম চিহ্নগুলি কি কি?
★বাক্যের শেষে মূলত তিনটি বিরামচিহ্ন ব্যবহৃত হয়
(১) দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ(।)
(২)জিজ্ঞাসাচিহ্ন বা প্রশ্নোধোধক চিহ্ন(?)
(৩)বিস্ময়চিহ্ন(!)
প্রশ্ন (০৮)
বাক্যের শেষে ব্যবহৃত বিরামচিহ্নগুলির একটু প্রয়োগ ও উদাহরণ দেয়া যাবে কি?
★
(০১)
দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ(।)
একজন লেখকের যেকোন মনোভাবের সমাপ্তি বোঝাতে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ বসে,নতুবা কোন একটি বাক্য শেষ হলে অর্থাৎ ধরা যায় কোন একটি বাক্য সম্পূর্ণরূপে অর্থ প্রকাশ করলে বাক্যের শেষে দাঁড়ি বা পূর্ণচ্ছেদ বসে।
উদাহরণঃ
বাংলাদেশ অামার মাতৃভূমি।
(০২)
জিজ্ঞাসাচিহ্ন বা প্রশ্নবোধক চিহ্ন(?)
যেকোন কিছু জানার অাগ্রহ জন্মালেই তা জানতে বাক্যের শেষে জিজ্ঞাসাচিহ্ন বসে নতুবা কোন বাক্য দ্বারা যদি কোন প্রশ্ন বা কিছু জানতে চাওয়া হয় তবে সেই বাক্যের শেষে প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসে।
উদাহরণঃ
তোমার নাম কী?
(০৩)
বিস্ময়চিহ্ন(!)
হৃদয়ের সমস্ত অাবেগগুলোকে ভয়, অানন্দ,দুঃখ,ঘৃণা,অাশ্চর্য ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্যেই বিস্ময়চিহ্ন বসে।
উদাহরণঃ
উহ!বড্ড লেগেছে গো!
প্রশ্ন(০৯)
হাইফেন চিহ্নকে বাংলায় কি বলা হয়?
★হাইফেন চিহ্নকে বাংলায় বলা হয় সংযোগ চিহ্ন
প্রশ্ন(১০)
হাইফেন চিহ্নে কি কোন বিরতিকাল অাছে?
★না,হাইফেন চিহ্নে কোন বিরতিকাল নেই গো,কোথাও হাইফেন চিহ্ন দেখতে পেলে নিঃশ্বাসে কোন দম নিতে হয়না অর্থাৎ থামার কোনই প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন (১১)
হাইফেন চিহ্নের প্রয়োগ সম্পর্কে একটু বলবেন?উদাহরণসহ...
★নিশ্চয়ই বলবো ভাই,বিভিন্ন কারণে হাইফেন চিহ্ন ব্যবহৃত হতে পারে।
(১) দুটো শব্দের সংযোগ বোঝাতে হাইফেন চিহ্ন বসে।যেমন-
অামার মা-বাবা বেড়াতে গেছেন।
অাজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।
ধরণী-মাঝে চরণ-ফেলা।
(২) সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেখবার জন্যেই হাইফেন বসবেই।যেমন-
তাদের মাঝে অহি-নকুল সম্পর্ক।
সাপে-নেউলে সম্পর্ক শেষে তাদের মধ্যেই এখন দহরম-মহরম চলছে গো ভাই।
(৩)একই ধরণের শব্দ প্রকাশের ক্ষেত্রে হাইফেন বসে।যেমন-
বাংলাদেশ নদ-নদীর দেশ।
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বাংলাদেশের প্রধান নদী।
(৪)একই শব্দ পরপর দুবার বসলে তাদের মাঝে হাইফেন বসবেই।যেমন-
হাঁটতে-হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে গেলো রে।
(৫)যেসব ক্ষেত্রে সব শব্দই সমান প্রয়োজনীয় এবং স্বাধীন,কেউ কারো উপর নির্ভরশীল থাকেনা, সেসব জায়গায় হাইফেন বসে।যেমন-
রুপা-মণি-মুক্তা কিছুতেই সুখকে খুঁজে পেলাম না।
(৬)বিশেষণ>বিশেষণ পাশিপাশি থাকলে হাইফেন বসে।যেমন-লাল-নীল, সাদা-হলুদ
(৭)ব্যতিক্রমী শব্দযুগল যেমন-ই-মেল,টেলি-যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে হাইফেন বসবে।
প্রশ্ন(১২)
বর্জন চিহ্নের জন্যে অামরা কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে পারি?
★বর্জনচিহ্নের জন্যে অামাদেরকে তিন তারকা চিহ্ন★★★ ব্যবহার করতে হবে ভাই।
প্রশ্ন(১৩)
কমা(,)-র বাংলা নামটা কি?
★কমা(,)-র বাংলা নামটি হলো পদচ্ছেদ।
প্রশ্ন(১৪)
নামের পরে এক বা একাধিক ডিগ্রি থাকলে প্রতিটি ডিগ্রির পরে কোন চিহ্ন ব্যবহৃত হয়?
★অবশ্যই কমা চিহ্ন বসাতে হবে, যেমন-
ডক্টর ইথার,এম.এ.পি-এইচডি।
প্রশ্ন(১৫)
কমা চিহ্নের প্রয়োগ সম্পর্কে একটু বলবেন?
★নিশ্চয়ই,
(১)কোন তারিখ লিখতে গেলে বার ও মাসের পর অবশ্যই কমা বসাতে হবে,যেমন-১৫ই সেপ্টেম্বর,২০১৬
(২)সম্বোধন পদের পরে অবশ্যই কমা বসাতে হবে।যেমন-ইথার,একটা গান শুনাও।
ইথার,খাবে এসো।
(৩)পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত একাধিক বিশেষ্য,বিশেষণ বা সর্বনাম পদ বাক্যের মধ্যে একত্রে বসলে শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরই কমা বসে।যেমন-
বিশেষ্যঃপদ্মা,মেঘনা,যমুনা হলো বাংলাদেশের প্রধান নদী।
ক্রিয়াঃখাব,যাব,ঘুরবো,দেখবো অার অবশেষে ফিরে অাসবো।
বিশেষণঃসুখ,দুঃখ,অাশা,হতাশা কে করেছি ইথারের পৃথিবী।
সর্বনামঃতুমি,অামি ও সোমালীনিরঝরা ঘুরতে যাব।
(৪)উদ্ধৃতি চিহ্নের অাগে অবশ্যই কমা বসাতে হবে।যেমন-
মা বললেন,"ইথার এভাবে রাত জেগে অার কবিতা লিখো না"
(৫)ঠিকানা লেখার সময় রাস্তা বা বাড়ির নম্বরের পর কমা দিতেই হবে।যেমন-
১২/৯,ইথার রোড,অতিরঞ্জন ঘাট,ভূতের গলি-৪০০০।
প্রশ্ন (১৬)
কমা চিহ্ন দেখতে পেলে পড়ার সময় কতক্ষণ থামতে হয়?
★কোন বাক্যে কমা চিহ্ন দেখলে পড়ার সময় থামতে হয়।সাধারণত এক উচ্চারণ করতে যতটুকু সময় লাগে।
প্রশ্ন(১৭)
কমা অপেক্ষা দ্বিগুন সময় থামার প্রয়োজন হলে কোন চিহ্ন বসাতে হবে ইথার?
★অবশ্যই সেমিকোলন(;) বসাতে হবে।
প্রশ্ন (১৮)
সেমিকোলনের প্রয়োগ সম্পর্কে বলা যাবে একটু উদাহরণসহ?
★নিশ্চয়ই,
(১)দুটি বাক্যের মধ্যে ভাব বা অর্থের সম্বন্ধ থাকলে সেমিকোলন বসবেই।যেমন-
কথাটা বলা সহজ ইথার;করা কঠিন।
ইথার,দিনটা ভালো নয়;মাঝে মাঝে বৃষ্টি পড়ছে।
(২)একাধিক বাক্য সংযোজক অব্যয়ের দ্বারা যুক্ত না হলে সেমিকোলন বসে।যেমন-
অাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া;পরে কবিতার বই।
অাগে চাকরি পাও;পরে প্রেম করা যাবে।
(৩)যেসব অব্যয় বৈপরীত্য বা অনুমান প্রকাশ করে,তাদের অাগে সেমিকোলন বসবেই।যেমন-
ইথার ছেলেটি মেধাবী ;কিন্তু ভারী অলস।
তাঁর কবিত্ব অাছে;কিন্তু কবিতা লেখে না।
প্রশ্ন(১৯)
সেমিকোলনে কতক্ষণ থামতে হয়?
★এক শব্দটি দুইবার উচ্চারণ করতে যতক্ষণ সময় লাগে ঠিক ততক্ষণ থামতে হয়।
প্রশ্ন(২০)
কোলনের(:) প্রয়োগ কিভাবে করা যায়?
★নানা কারণে কোলনচিহ্ন ব্যবহৃত হতে পারে।
(১) উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত বুঝাতে যেমন-
বাংলা সন্ধি দুই প্রকারঃ স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি।
(২)উদ্ধৃতির অাগে
যেমন-
ইথার বলেছেনঃ"অাজ তোমাদের রক্তাক্ত সময়ে অামি সবুজশোভিত বৃক্ষের দলে"
(৩)যেকোন নাটকের সংলাপের অাগে
যেমন-
ইথারঃসমুদ্র-মানবীকে বলে দে
অতিরঞ্জনঃকি বলবো?তাঁর স্রোত বড়ই রহস্যময়ী!
প্রশ্ন(২১)
ইলেক চিহ্নের(') বাংলা নাম কি?
★ইলেক চিহ্নের(')বাংলা নাম হলো লোপচিহ্ন।
প্রশ্ন(২২)
লোপচিহ্নের প্রয়োগ কিভাবে করা যায়?
★শব্দের মধ্যে কোন অক্ষর সুপ্ত অবস্থায় থাকলে সেই সুপ্ত স্থানে ইলেক বা লোপ চিহ্ন বসাতে হবে।যেমন-
মাথার 'পরে জ্বলছে দিবাকর।(উ লোপ পেয়েছে)
দু'পায়ে হেঁটে চলতে পারছে অামাদের ইথার।(ই লোপ পেয়েছে)
প্রশ্ন(২৩)
অামরা জানি ব্রাকেট বা বন্ধনী চিহ্ন গণিতশাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়।কিন্তু বাংলা সাহিত্যে এদের কি কোন ব্যবহার অাছে?
★নিশ্চয়ই অাছে,সাধারণত ব্যাখ্যামূলক একই জাতীয় অর্থের ক্ষেত্রে প্রথম বন্ধনী চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।যেমন-
ইথার(সিলেটের)অধিবাসী।
প্রশ্ন (২৪)
ড্যাশের প্রয়োগ কিভাবে করা যায়?
★যৌগিক অার মিশ্র বাক্যের পৃথক ভাবের দুই বা তারও বেশি বাক্যের সমন্বয় ঘটাতে ড্যাশ(-------)চিহ্নের প্রয়োগ ঘটানো হয়।
যেমন---
ভালোভাবে পড়ালেখা করবে ইথার---অন্তত পরীক্ষার অাগে।
প্রশ্ন (২৫)
অাধুনিক বাংলা ব্যাকরণে ত্রিবিন্দু(...) এর অাগমন ঘটেছে।যদি একটু বলতেন...
★
(১)
প্রধানত বর্জনচিহ্ন হিসেবেই এ ত্রিবিন্দুর প্রয়োগ ঘটানো হয়।যেমন--
ইথার কবিতা লেখে ঠিকই...তবে বুঝা মুশকিল।
(২)
কথা অসমাপ্ত রেখে দেয়া হলে ত্রিবিন্দু ব্যবহার করা হয়।যেমন-
পাগল কি অামিই,নাকি তারাও--যারা...
প্রশ্ন (২৬)
বিকল্প চিহ্ন কি?
★ দুই বা ততোধিক শব্দের মধ্যে যেকোন একটি হলে বিকল্প চিহ্ন(/) এর প্রয়োগ ঘটানো হয়।
যেমন---
অাজ/কাল অামি অাসতে পারি তোমাদের কবিতার অাসরে।
প্রশ্নঃ(২৭)
অালংকরিক যতিগুলো কি কি?তাদের বাংলা ও ইংরেজি নামগুলো যদি বলতেন........
★
(১)বাংলায় টিকচিহ্ন বা ধাতুযতিকে ইংরেজীতে রুট ওভার বলা হয়
(২)বাংলায় উৎসযতি, ইংরেজীতে এটি নেই।(<>) এটি হলো উৎসযতি যা শব্দের উৎপত্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
(৩)তারকা যতির ইংরেজী হলো স্টারমার্ক।(★) এই চিহ্ন কোন কিছুর গুরুত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।
(৪)অনুচ্ছেদ যতিকে ইংরেজিতে প্যারামার্ক বলা হয়।(#)-এই চিহ্ন কোন কিছুর লিস্ট বা তালিকার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
(৫) তিরযতি কে ইংরেজীতে বলা হয় এ্যারো।(---->)
এই এ্যারো চিহ্ন কোন নির্দেশমূলক বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
(৬)বুলেট যতি যা পারিভাষিক,ইংরেজীতেও একই।(.)
কোন কিছুর নমুনা দেয়ার জন্যে বুলেট চিহ্ন ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন(২৮)
প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন কাকে বলে?
★প্রশ্নচিহ্নকেই বলা হয় প্রান্তিক বিরাম চিহ্ন।
প্রশ্ন(২৯)
বিভক্তি চিহ্নের বদলে সাধারণত কোন চিহ্ন বসে?
★অবশ্যই হাইফেন চিহ্ন
প্রশ্ন (৩০)
বিরামচিহ্ন না দিলে কেমন হবে? অার দিলে কেমন হয়,এর মাঝে পার্থক্যটি যদি বুঝানো যেত...
অনুচ্ছেদঃ
বিরামচিহ্ন ছাড়াঃ
------------------------------
ইথার নিয়মিত গোপনে গোপনে কবিতা লিখে কিন্তু সে অাদৌ কবিতার কিছুই জানেনা সে বাংলা ব্যাকরণে একদম কাঁচা অামাকে সে বলেছিলো রক্তাক্ত সময়ে অামি সবুজশোভিত বৃক্ষের দলে শুনে তো অামাদের অাত্মা মূর্চ্ছাহত সে নাকি কবি কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে কবিতা বানায় অাসলে কবিতা কী হয়তো সে এটার মানেই জানেনা ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত বলেছিলেন অাপনাকে বড় বলে বড় সেই নয় লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়
বিরামচিহ্নসহঃ
-----------------------
ইথার, নিয়মিত গোপনে-গোপনে কবিতা লিখে; কিন্তু সে অাদৌ কবিতার কিছুই জানেনা। সে বাংলা ব্যাকরণে একদম কাঁচা। অামাকে সে বলেছিলো, "রক্তাক্ত সময়ে অামি সবুজশোভিত বৃক্ষের দলে "তা শুনে তো অামাদের অাত্মা মূর্চ্ছাহত! সে নাকি কবি! কঠিন কঠিন শব্দ দিয়ে কবিতা বানায়... অাসলে কবিতা কী? হয়তো সে এটার মানেই জানেনা! ঈশ্বরচন্দ্রগুপ্ত বলেছিলেন---" অাপনাকে বড় বলে বড় সেই নয় লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়"
★এই অালোচনাটি অামার একেবারেই নিজস্ব।সবাই ভালো থাকুন অাসরের প্রিয় কবিগণ।অামি অাপনাদের পাঠক হয়ে পাশে থাকতে চাই অারো কিছুদিন...