অবজ্ঞায়,
ছড়ানো-ছিটানো কালো শস্য দানা।
মাঝে মাঝে ক্রেতা-বিক্রেতার দর-কষাকষি,
তাই কালের ক্ষুধায় পাপের ত্রিভুজ আঁকা
সংখ্যাতীত ভুলের খাতায়।
দেখি মাথার ওপর সাপের খোলস,
মণিটা ঠিক পায়ের তলায়...
ওহো,ঘটনার পেছনে চিমটি কাটে অারেক ঘটনা!
বিজ্ঞাপনে ভেসে উঠে অারেক বিজ্ঞাপনের গলিত লাশ!
জনতার ভোজসভায়ও কালো বেড়ালের মহা-উল্লাস!
ইসস..
অভিমানী চোখেরা তবে কেনো ফিরিয়ে নিলো মাংসের শোভা?
শেষে ধুলোর শরীরেই পৃথিবীর অাজব নাট্যমঞ্চ ,
প্রাণকণায় বিদ্যুৎ , ঘড়ির কাটা নির্লজ্জ,সংজ্ঞাহীন...
কাঁপে বেদনার অক্ষরনীল বৃত্ত,
শুক্লা-পঞ্চমী তিথিতে রাগ মেঘ-রঞ্জনী।
সুর-বৃষ্টি ঝরে টুপটাপ... টুপটাপ...টুপটাপ.....
চন্দ্র মিটিমিটি হাসে , ছায়াও হাঁটে
পথিকশূন্য জ্যামিতিক পথে.....
গন্তব্য সরস্বতী ভোর।
অতঃপর,যাত্রা শুরু........
ওহো,কোন ঘাটে করি যে সরস্বতী স্নান?
ঘাট অনেক,ঘাট অনেক,সন্দেহাতীত!
কিন্তু নৌকো নাই!
অথচ বেগবতী স্রোত,
সহস্র থেকে সহস্র মাইল....
সাঁতার তো জানি না,আপাত অক্ষম!
মহাকালবক্ষে এখনো জাগ্রত হয়নি শিখাপ্রাপ্ত জ্ঞান,
সর্পভ্রম তুল্য অবিদ্যার যোনিতে রূপগত মৃত্যু;
অন্ধতমসাচ্ছন্ন জগতে নারকীয় কল্পনায়
মন্ত্রমুগ্ধ কীট কখনো বুঝেনি সত্ত্বগুণাশ্রিত অমৃত-ধারা,
যুগান্তব্যাপী জড়তায় কেবল আত্ম-স্বরূপের দুর্ধর্ষ তেজ-বীজ-বিদ্যমান।
নিষ্ফলের কণ্টক-কণ্ঠহারেও প্রাচীন আবর্জনার স্তূপ।
হৃদয়-কপাটে পৌঁছাবে কি চন্দ্র-কিরণ?
বিদারণে স্ফুরিত হবে কি স্বর্ণের জ্যোতিঃঘাত?
কালকৃত দৃশ্যে দ্বন্দ্ব-ঘটিত সংসার-লীলায়
দাঁড়িপাল্লাসদৃশ শূন্যতা যেন
দৃষ্টিজালে আবদ্ধ বস্তুকেন্দ্রিক চেতনার গুরুত্ব-লঘুত্ব নির্ণায়ক!
কিরীচযুক্ত গহ্বর থেকে আঁটসাঁট রহস্যময় সুড়ঙ্গটি
জীবন পাহাড়ের পাঁজর ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকে রক্তচোষা অন্ধকারে...
অন্ধ শিকারীর ছুঁড়ে দেয়া জ্বালাময়ী আগুন কাঠিটার উদ্ভাসিত আলোর নীচেই
ধরা পড়ে অবিনাশী-পাথর,
তাঁর নাম রেখেছি চকচকে শৈশবের পুতুল-খেলা ।
ডিমের খোলসে জায়মান-অতীত,
সাপের গর্তে জন্মের-বিছানা,
ক্যালেন্ডারে শত শত লালচে-দাগ,
ঝিনুক কুড়াতে কুড়াতে চিংড়ির-নাচ দেখে
ঘাপটি মেরে বসে থাকি নদীমাতৃক বাংলার ঘন-জঙ্গলে,
স্রোত যেন বেশ্যাপল্লীর নর্তকী!
ফুটপাটে এসে নামে স্পশহীন বর্ণমালা,
তাদের মোটেই ফেরাতে পারিনা ...
শুধু কালো গাড়ির পিছনে দৌঁড়ায় ঋতুবতী বালিকা....
দেখি মদের বোতলে জমানো সর্দি-কাশি,
নয়তো ফুসফুসের ক্ষতচিহ্নে ঘুমন্ত এলোপ্যাথিক ট্যাবলেট!
আর কী চাই?
চাইনা কিছুই......
কালের মৈথুনে সঙ্গম বাসরে এক ফোঁটা বিবেকের বীর্যপাতই যথেষ্ট!
গিরিশৃঙ্গবৎ নিশ্চল ভাবনায়
সমুদ্র-ফেনায়
অার ভাসে না চন্দ্রমুখ......
সর্পিল ছায়াপথে
অনির্বচনীয় আনন্দের
কেবল মিথ্যে আয়োজন ।
জানা নেই জন্মদাতার নাম;
রহস্যজালে...
আটকে থাকে উপপত্তিক-জ্ঞান
কাঁপে শ্রুতি-মধুর সাতটি স্বর;
সা রে গা মা পা ধা নি ......
লজ্জা পায় মেঘ-রঞ্জনী।
কুয়াশাবৃত সময়ে
ফিরে আসে না
রাগ- ঠাট- সুর- তাল- লয়।
কিন্তু সামনে.........
শ্যাওলা ধরা খুপরীর মতো ঘর
বন্দি হয়ে আছে সৌন্দর্যমন্ডিত রহস্যময়ী।!
নাচে পেখম মেলা নীল ময়ূর ;
গিলে খায় শুক্রের জ্যোতি!
সময়ের বুকে ঘুমায় শশী বশীভূত;
মূলাধারস্থ কুণ্ডশক্তির
ছয়- চক্র অতিক্রম করেও
সহস্রারপদ্মে...
থমকে দাঁড়ায় মেঘবৎ নীল-বর্ণ রহস্যময়ী!
অসমাপ্ত তাঁর ষটচক্রভেদ.........
আসে সমান্তরাল রক্তস্রোত-ধারা
সেরে নেয় মন্দাকিনীতে স্নান।
অতঃপর,
অাজ সে রুদ্রাণী!