উৎসর্গঃবাংলা কবিতা অাসরের সব প্রিয় কবিদের।
পর্ব একঃ
---------------
দেবতার পায়ের তলায় দীপ জ্বেলে
লাশকাটা ঘরের নির্জনতার পাশে
গেঁজলে উঠে মধ্যরাতের পরিচয়।
সাড়ে তিন-হাত দরজা খুলে
বুক পাথরে ঘুরে ঘুরে ঠুকরে মরে
উজান-গাঙের ভালোবাসা।
ল্যাংটা কালের মায়ায় দিন ফুরায়
বসন ছেড়ে রুপোর থালায়।
ধ্বনির টংকার বাজে ক্ষতের মুখে,
তখন দেখি ঈশ্বর অামায় দিয়েছেন ছুটি!
পর্ব দুইঃ
-------------
অামার বিদায়েই মুদ্রিত হয় মৃত্যুর কবিতা।।
অালোর কাছেই অাজন্ম ঋণী
এ দু'টো চোখ অামার--
যখন ভিক্ষার ঝুলিতে দেখতে পায় উনুনের ইতিহাস;
তখনি ফুটন্ত ভাতের শব্দ শুনে
বধির হয়ে যায় জন্মপথের প্রেমিক।
তবু অামি অন্ধকারে খুঁজে পাই অাগুনের সার্থকতা
যখন ঢুকে যায় নিখাদ প্রেম;
অবুঝ পাথরের মনে!
কিছু কিছু নামহীন দুঃখের চাকাও সময়ের খাদে পড়ে
জন্মের শ্লোক হয়ে ধরা দেয় কালপুরুষের মুখে।
শেষে,অশ্রুর কারাগারেই
শেকল খুলার গান গায় অালোর প্রহরী।
অামার বিদায়েই মুদ্রিত হয় মৃত্যুর কবিতা।।
ফুৎকারে ফুৎকারে উড়ে উড়ে চলে যায় বেনামী পাপ,
ষোল অানা দালান-কোঠার দেশে।
বারংবার,অস্তিত্বের সংঘাতে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে
রক্তরেখার শেষ বিন্দুর মাঝেই
অামি শুনতে অাসি মহাকালের শ্লোগান;
ধরিত্রী যে অামার স্বপ্নের খনি!
কেউ কি জেগো অাছো?
অবিনাশের পা ছুঁয়ে দাঁড়াও হে কালের শ্রমিক!
লক্ষ্য-কোটি যন্ত্রণার নাম দিয়েছি সৌদামিনী,
অামি হলাম অালোর খরিদ্দার
মানুষ জন্মের হাট-বাজারে....