দৃশ্য একঃ
---------
কিরণ-মায়া বিলাসী নীল-কাঁচের ভিতর
রমণীদের হৃৎপিণ্ড রেখে
চোখের সামনে তাবৎ পৃথিবীর কান্না নিয়ে
অামি একাকী দাঁড়িয়ে দেখছি, শুধুই দেখছি ..
কি?
মাংসের-পর্দা ছিঁড়ে,
পুরুষের প্রতিভা পাখি হয়ে উড়ে যাচ্ছে
দূর থেকে অতিদূরে............
পালাতে পারে কি?
বারুদের-কণা টেনে অানে অাগুনের হিংস্রতা,
ছাইয়ের স্তূপে অামার বঙ্গদেশ...
ঠিক তখনি----
রমণীদের চোখ হয়ে উঠে পৃথিবীর প্রতিটি কলম।
দৃশ্য দুইঃ
--------
কণ্ঠিধারীর মুখে কাল-কার্য-কথা
মহাপাতকীসংসর্গ,
আত্মার জঙ্ঘায় কামুক প্রেমের নাট্যমঞ্চ ।
দোষৈকদর্শী-স্বোদরপ্রেরক-কুচক্রীরা বিষয়বিতৃষ্ণ চোখে
পার হতে চায় বৈতরণী,
পারে কি?
খদ্দের!
স্তনমূলে জড়ো হলো সান্ধ্যমেঘ
নিমন্ত্রণ আমাদের ভ্রাম্যমাণ বেশ্যাপাড়ায়!
মান্দাসিনী !
নিয়তির কাছে হোঁচট খেয়ে পাতা-ঝরা পথে
দাঁড়াতে শিখেছো কিন্তু হাঁটতে শিখোনি।
পা দু’টো ঝাকিয়ে নাও!
এখনো মুছেনি জন্মের দাগ,অথচ মৃত্যু প্রসব করে
মর্ত্যভূমির কপালে বেনামী তিলক এঁকে দিয়েছো
ভুল সময়ের আলিঙ্গনে।
কোথায় সেই যমালয়-ইন্দ্রালয়?
উৎকর্ণ প্রহরী হয়ে সাঁঝবেলায় গড়ে তুলেছো শরীরের ভাস্কর্য,
শেষে,ফুলগন্ধী ভোরেই
তুমি ভুলে গেলে বাস্তুতন্ত্র-গণতন্ত্র-জাদুমন্ত্র!
মান্দাসিনী ,কষ্টিপাথর ফেটে ঘটুক অশ্রুপাত,
খুলে যাক রাত্রির পোষাক,নগ্ন হোক জরাগ্রস্ত শরীর
শুয়ে পড়ো বটপাতার বিছানায়,
স্বপ্নে ফিরে আসুক স্বর্গীয় ইন্দ্রনীল
অস্পৃশ্য দিগন্তের রেখায় ফুটে উঠুক বিশ্বময়ীর শোভা।