হে অক্ষয়া শ্রাবণীপূর্ণিমা!
অক্ষর পরিচালকের কাছে
অনুমোদন পায়নি আমার গাণিতিক প্রেম
গদ্যে লিখিত সময়ের পৃষ্ঠায়
মাংস-কৃমি খুটে খুটে
মাটির বিচার করে মস্তিস্কের আদালত
সাক্ষী হলো হাড়-পাজরের কারবারি,
ফোঁকলা হাসে তোমাদের মহামান্য বিচারক বিষদুষ্ট কালো সর্পরাজ !
সে কী!সমকালসম্ভূত জাতিভ্রংশ হৃৎপিণ্ডের উকিল যে সর্পবায়ুর অংশীদার !
হে অক্ষয়া শ্রাবণীপূর্ণিমা!
চক্রনাভীতে একাকী দাঁড়িয়ে আছে আমার জ্যামিতিক পর্বত
উচ্চতা লক্ষ্য-কোটি কলমের দীর্ঘশ্বাসের সমান,
কেউ দেখে নি,দেখেছে অশ্বত্থ বৃক্ষতলের সুবুদ্ধি-সাধক ।
হে অক্ষয়া শ্রাবণীপূর্ণিমা!
আঁধারের ক্ষতমুখে আলোর শুদ্ধ চুমু মুছে দিয়ে
ঈগলের ডানায় চড়ে মৃত পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ শেষে
ফিরে আসে শেষ বিকেলের সূর্য-রঙা শব্দ-খাদক;
এ যেন সিন্ধু-জ্ঞানের পীঠে নক্ষত্রের পতন!
বলো,কোথায় পালাই?
পলায়ন-বিদ্যা হাস্যকর,
তাই স্বয়ং আমাকেই আঁকাবাঁকা ছন্দ-স্বরে
অর্ধেকটা গিলে খেলো কালো সর্পরাজ ......