(১)
বয়স
----------
মহাকালের আয়নায় ভাসে আমার প্রতিচ্ছবি,
দেখি,আমি এক আজন্মকালের শিশু.......
(২)
কালপুরুষ
---------------------
হাজার বছর ধরে আলোর লণ্ঠন হাতেই
দাঁড়িয়ে আছে বাংলার কালপুরুষ!
(৩)
ধ্রুব সত্য
----------------
পরিত্যক্ত ক্যালেন্ডারের বাইরে,
অবহেলায় পড়ে থাকবে গণনাবিহীন মৃত্যু,
সময় আর দূরত্বের মাঝখানে স্থিরীকৃত হবে সব শূন্যতা....
(৪)
বিশ্বাস
-----------
সূর্যের চুম্বনে,
একদিন পায়ের তলায় নেমে আসবে আলোর সিঁড়ি;
সেদিন অনায়াসে মুছে যাবে সব কালো ছায়াচিহ্ন।
(৫)
উপভোগ
-----------------
বিচরণ করুক উন্মুক্ত শৈশব
তোমাদের প্রতিটি সময়ে,
আর ঝরে পড়ুক সব শূন্যতা;
যা হবে স্পর্শের অতীত......
(৬)
তপস্যা
-------------
বেঁচে থাকার সূত্রে খানেকটা ভুল,জীবনের খাতায় গন্ডগোল;
পরিশেষে,অসংখ্যবার মৃত্যুর পর পুনরায় হবে জন্মের সাক্ষাত।
(৭)
সংকেত
--------------
হে স্বপ্নদর্শী মানুষ!
দুঃসময়ের অন্ধকারে হাত বাড়িয়ে নিখোঁজ সূর্যটি কে খুঁজে নাও
নচেৎ মৃত্যুফাঁদে তুমি অজান্তেই ভুলে যাবে সব মুক্তিমন্ত্র।
(৮)
অবিচলতা
---------------------
আহত মাটির বুকে শিকড় শিখিয়েছে আঁকড়ে ধরার কৌশল,
তাই দাঁড়াবার স্পর্ধা দেখে
লুকিয়ে ফেলিসনা তোর চোখ!
(৯)
লড়াই
------------
নষ্টের চোরাবালিতে পড়ে নিশ্চিহ্ন হবার আগেই
সুতীব্র চিৎকারে জেগে ওঠে
দেখে নিও ফুলের বিন্যাস!
(১০)
উত্তোরণ
---------------
যদি দৃষ্টির আওতায় সব পথ বন্ধ হয়ে যায়
তবে ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করো,
কেননা হাঁটলেই পথ তৈরি হয় ……
(১১)
সফলতা
-------------
হে দিগন্তপারের অভিযাত্রী!
শীতার্ত সময়ে,হৃৎপিন্ডের ভিতর সাজিয়ে নিও
লক্ষ্য-কোটি শ্বেত-পাথর।
ঘর্ষণে-ঘর্ষণে একদিন জীবনের আগুন জ্বলবেই!
(১২)
প্রেমের শিকড়
-------------------
আঙ্গুলের টোকায় কাঁপে বুড়ো দেয়াল।
তারপর?
অশ্রু-নদীতে জাগে চর
চরের উপর জন্মায় গাছ।
তারপর?
চিরবৃষ্টির প্রতীক্ষায় প্রেমের শিকড় শুঁকে মাটির ঘ্রাণ!
(১৩)
অাহ্বান
-------------
চল্ যাই ক্ষুধার দেশে,
যেখানে জীবনের ভাঁজে –
লুকিয়ে থাকে মৃত্যু।
(১৪)
প্রত্যাশা
-------------
বুকের তিমিরে পড়ে থাকা
কালো পাথরটি ভেঙে বয়ে যাক অনাবিল স্রোত,
ভেসে চলুক-- আগুনের এক নৌকো
তোমাদের কিছু পোড়া দুঃখ নিয়ে......
(১৫)
দায়মুক্তি
-----------
যদি কোনদিন জন্মের নিকটে জানতে পারি কান্নার ভাষা,
তবে মিটিয়ে দিয়ে যাব তোমাদের সব প্রাপ্যতা!
(১৬)
অভিমান
----------------
বহুদিন আসিনি- এসে,প্রেমের শিকড় ধরে টান দিলে,
খুলে যাবে চাঁপা ঠোঁট,ঋণগ্রস্ত হবে দু’টি হাত,
কেঁপে উঠবে চিবুকের চেনা জন্মদাগ।
তবে না আসাটাই ভালো...
অনিলা!