শঙ্খনাদে নবমল্লিকার ঘাড়ে
লাল পিঁপড়ের বিদ্রুপ এসে
চক্রবালে রাখে অপস্মার,
কাঁপে, শুধুই কাঁপে ছায়া-সরণী.......
অশ্মীভূত পৃথিবীর অমূল্য চাবিকাঠিতেও
রহস্য ছিটিকিনি-বন্ধন,
তাবৎ বিকর্ষণে সরে পড়ে কড়িকাঠ,
নির্বিকার পালঙ্কে ঘুণপোকা,
শূন্যের ওপর ধূমাঘর
যেন সুষুপ্ত শিকারীর অাজব সভাস্থল!
ঝাপসা ঝাপসা দৃষ্টিতে আগুনের ক্রোধ
মহা-সংক্রামক!
তবু ধুলোর পীঠে
কালের জোতদারি মানে না মাটির সমতা,পঁচন-বিদ্যা অজ্ঞেয়.....
সুন্দরে জাগে সর্বপ্রাণ,
কিন্তু আঁধারেই অস্বীকার,
নির্লজ্জ দর্শনে নিপীড়িত অশ্বমেধযজ্ঞফল
ক্রান্তিবৃত্ত ভেঙে
নির্বাসন হতে মুক্তি চায়
আধিভৌতিক পথে পথে...
ঐ ঐ গৈরিক ছায়ার আশ্রয়ে!
ঘাড় সোজা করে তাকায় নবমল্লিকা,
দেখে চিলের ডানায় শূন্যগর্ভের কৌতুক!
বাতাসে বাতাসে
শবযাত্রা পথিকের গন্ধ শুঁকে শুঁকে
নির্গুণ সন্ন্যাসীরও প্রলয়নাচন......