ছেঁড়া-পৃষ্ঠায় সমাধিতত্ত্ব,
যোগভ্রষ্টের সচ্চিদানন্দলাভ।
পাঞ্চভৌতিক অন্ধকারের ভেতর
বজ্রসচকিত চোখে স্ফুরিত কাম
কৃষ্ণকায়।
বর্ষণমন্দ্রিত মুখচ্ছিরি নিয়ে কে পালায় পঞ্চবটীবন ? কে পালায়!
অপার্থিব মৃদঙ্গমের কম্পিত ধ্বনি
কর্ণভেদী!
সম্মোহনী বাতাসেও মৌমাছির আধ-আধ গুনগুন।
রমণীয় বিছানায়
পদ্মনাভির মূলে জড়ো হয় উদ্ভ্রান্ত মেঘ।
এ যেন মৌলিক প্রতিভার মাত্রিকতায় বিকাশ!
অতীন্দ্রিয় কল্পনাশক্তি
তবু খোঁজে পায় না অন্তদর্শন।
পর্ণমোচী! শবযাত্রীরা তৈরি হয়ে আছে,
যাও তুমি যাও.........
ক্ষয়িষ্ণু হাড় ও কাদায় পূর্বপুরুষের আঁশটে গন্ধ শুঁকে শুঁকে
মেখে আসো শ্মশানের ছাই,
শিশু দু’টিকে করে দাও অনাথ।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিস্থল সে তো ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতিজাত .........