যদি ফিরে আসে জীবন সঙ্গীতের প্রথম সুর
তবে কি শেষ ভোরে থেমে যাবে
অপেক্ষার পলকহীন চোখের আন্দোলন?

স্বপ্নময় বাগান ঠিক সাড়ে তিন হাত দূর……
কিন্তু দৃষ্টির সীমানায় আসে কর্পুরের গন্ধ!
আঁধারের নগ্নতা ঢাকে শুক্লা-দ্বাদশী চাঁদ ।

মাটির বুকে চলে অবিরত সংঘাত,
বেদনাভারনত ওষ্ঠও চায় ধ্বনিগত চুম্বন!

চতুর্দশী!
শমনালয়ের চোরাপথে
হেঁটে হেঁটে কে যায় তুলসী তলায়?

তালহীন সময়ে আসবে মেঘরঞ্জনী,
জেগে ওঠবে মহেশ্বর।
রহস্যের ফিরিস্তি দেখে
ভেস্তে যাবে মৌনব্রতী শিল্পীর বৈরাগ্যসাধন!

তাই ধ্যানের আসনে উচ্চারিত প্রেমের সেই ঝংকার
প্রতিধ্বনিত হোক ললিত দেহে,
উতল নিঃশ্বাসে গড়ে উঠুক কামনার ফুল।

রূপ- রসের উত্তাল জোয়ারে
ভেসে যাক উচ্ছ্বসিত যৌবন।
লীলায়িত প্রাণের বুকে অগ্নির অক্ষরে
লেখা হোক রোমাঞ্চিত প্রেমের বাণী।

চতুর্দশী!
আজ তবে ঝরুক তোমার আলোকিত প্রেম
মুষলধারে বর্ষণরত টানা বৃষ্টির মত.....

##ইথার/অতিরঞ্জন