দৃশ্য একঃ
----------------
পৃথিবীর কাছে একটি শুদ্ধ-চুমু বন্ধক রাখতেই,
আয়না-বান্ধবীর বুকে ধরা দিয়ে গেলো
অামার অবেলার এক থালা গরম ভাতের অমর প্রেম।
শূন্যের কাছে পাঠিয়ে দেই একটি অপেক্ষার নমস্কার!
কেউ কি জানে কোন্ হেলায় স্বপ্ন ছোট হয়ে অাসে মাতৃত্বের কাছে?
অামার এ পোড়া-হাত বিনাশের গুপ্তচর;
রক্তের জাত ভুলে খুটে-খুটে তুলে নেয়
মানুষের খুপরিতে বসবাসরত
নীরব হিংস্রতার উচ্ছিষ্ট দানা।
ঝড়ো হাওয়ার হাহাকার গুনে-গুনে
প্রাণের কাছে হৃদয়ের প্রণতিও
খেয়াপারের গান হয়ে উঠে বাঁচার টানে।
চোখ যে অামার স্রোতের মানচিত্র!
আগুনের নৌকো বানিয়ে
এক ফোঁটা অশ্রুজলে ভেসে-ভেসে
অামার অক্ষয় কীর্তিরা পার হয়ে যায় অামারই অায়ুষ্কাল.....
দৃশ্য দুইঃ
--------------
মধুমিতা,তুমি কি কবিতা?
অামার ভগ্নাংশ রাখা অাছে তোমারই হৃৎপিণ্ডে!
চেয়ে দেখো,
শূন্যতার মায়াবী-নীল অন্ধকারে
জ্বলছে অবিরাম..অবিরাম....
অামারই বেদনার চিতা!
কেবল অশ্রুফোঁটা পড়লেই তা নিভে যেতে পারে.....