দৃশ্য একঃ
-----------------
হে অামার তামসী-সন্ধ্যা ছায়ারূপ সূচরিতা,
মাটি সরিয়ে দিয়েছি রক্তাক্ত পায়ের ছাপ গুনে গুনে...
চেয়ে দেখো কতোখানি উচ্ছিষ্ট অবহেলা
পুঁতে রাখা হয় সময়ের ব্যবধানে!
ভালোবাসা যদি তাঁর খোলস বেচে টিকে থাকতে চায়
ধরার মাঝে
তাহলে মানুষের স্বপ্ন চুরি হয়ে যায়,নিমেষেই.....
তখন অশ্রু-ফোঁটার কাছে
চোখের দাম মৃত্যু ছাড়া অার কিছু নয়!
একটি দেশ বাঁচে বিবেকের কষ্টিপাথর ছুঁয়ে
কিন্তু মগজের শোভা কখনো মানেনা অাত্মার স্বায়ত্ব-শাসন!
সূচরিতা,অাগুন ধরে যাক পৃথিবীর সব ভুলের তলে,
হৃদয় অামার সর্বভুক।
দৃশ্য দুইঃ
----------------
কতোবার ভেবেছি--------
মানুষের মিলন মেলায়
অামিই হবো সাক্ষাত অালোর কারবারি।
সব কঠিনের ভারে সহজেরে ভুলে
হাতের তালুতে জন্ম রেখে
হঠাৎ খুঁজে পাওয়া ঝরা ফুলের কাছে
সুরভির ভিক্ষা নিয়ে দাঁড়িয়ে যাবো
মৃতের পাশে প্রাণের দাবি জানিয়ে.......
অাফসোস!অাজো কেউ শুনেনি সে কথা-------
শুনেছে অাঁধারের পূজারী,
বধির হওয়ার ছলে.....
কতোবার ভেবেছি--------
মানুষের বেদনার লীলায়
অামিই হবো সাক্ষাত অশ্রুর কারবারি।
শিখিয়ে দিবো কিভাবে অভাগা চোখের জল
বুকের তল ঘেঁষে টেনে অানে অাজব অথৈ সমুদ্র!
নিমেষেই স্নান করিয়ে দেয় সময়ের অাগুনে দগ্ধ শরীর...
অাফসোস!অাজো কেউ বুঝেনি সে কথা------
বুঝেছে পাথরের যাযাবর ফেরিওয়ালা,
হৃদয়ে হৃদয়ে ঘর্ষণ ভুলে.......