পর্ব দুইঃ
--------------
উঠতিপড়তি
মন্দা হাওয়ায় হাওয়ায়
সন্ধ্যানদীর বাঁকে বাঁকে....
মার্কসবাদী খুঁজে রাক্ষস-মুদ্রা;
কিন্তু মহাশ্বেতা জলে
আমি দেখি মহাভারতের বিজ্ঞাপন।
মুহূর্তেই বাংলা মা সেরে নেয় তাঁর ঘৃতস্নান ......
অহো নব্য-ধ্রুপদী!
ধনবিজ্ঞানের পাতায় পাতায়
লেখা আছে আমার রক্তসূত্র;
উৎপাদন-সম্ভাবনা রেখার পীঠে স্বেদ-বিন্দু ছুঁয়ে
বুঝে নিও----
ক্ষুধার দেশে এক-খন্ড রুটি হলো ঈশ্বরের আয়না...........
কি দেখছো?
অহো নব্য-ধ্রুপদী!
শূন্যভ্রান্তির নীচে শ্রমিকের নাচন-বিদ্যা হাস্যকর
তবু পদ্মযোনি মিটাবে কালের মজুরী,বাঁশিতে বৃন্দাবনী সুর .......
কি বুঝলে?হে নব্য-ধ্রুপদী!
অাজ তোমাদের দেমাগী নগরের
তাবৎ অট্রালিকার ইতিহাস সাথে নিয়ে
শব হয়ে শুয়ে যাব
হেমবর্ণা শুভাবতী আগুনের উপর।
ফুটন্ত ভাতের মাঝেই দেখে নিও আগ্রার তাজমহল ...........