গিরিতটতলে সর্পিল ছায়া,
আকাশে নক্ষত্রঘেরা প্রশস্ত চত্বর
কাঁপে অর্ধচন্দ্রাকার নাকের গহনা!
অসীমের ভেতর অদৃশ্য বাতাস,
স্বপ্ন মাঝে আরেক স্বপ্ন,
হঠাৎ ওমন মিষ্ট সুরে কে ডাকে?
কে ডাকে আমায়!
অশ্বারোহণের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে মাতৃকাবর্ণ
এসো!এসো!
জাগাতে এসো কালের অন্ধকারে
আর ঘুমুতে চাই না...
আমার বাগান যে পথিকশূন্য!
হলুদ বৃষ্টিতে লুকায় প্রথম ক্রন্দন;
অতিরঞ্জিত ছন্দসূত্র লেখার জন্য
অর্চিষ্মান অন্তরে বাজে অশ্বক্ষুরধ্বনি
সমুদ্রের পাড়ে তীরবিদ্ধ হয় প্রথম কবিতা
জলদস্যুরাও যেন জামা ছিঁড়ে দেহের ছিদ্রটাই খুঁজে
ছায়াময় ঘুম ভাঙ্গে নাবিকনীল উচ্ছ্বাসে
আসে বিরতিহীন ঢেউ...
আকাশ হতে ঝরে
ঝরে আর ঝরে...
শুধুই ঝরে...
বিদায়ের মেঘফুল...
ইথারে ইথারে ভাসে কবির জীবনীগ্রন্থ;
অপমানিত ও লজ্জাময় সমাপ্তির ধিক্কারে
মৃত্যুর আগুন এসে জড়ো হয় প্রাচীন অরণ্যে
আগুন ভালোবাসতে চায়
ডালপালা পুড়ে ছারখার!
শিকড় ধরে আরেকটি জন্মের জন্য অপেক্ষা...
অপেক্ষা আর অপেক্ষা..
দৃষ্টিকে পরিহাস করে
সাদা,শব্দহীন ছেঁড়া পাতা
চোখেতে হাজার রাতের চিত্রপট, সঙ্গে আলো নেই
যেন দেখতে পারিনি নিজেকেই,
অবিকল অন্ধের মতো….
অগ্নি-কন্যা!
শ্মশানের কাঠ সাথেই এনেছি ,
দরজাটা খুলো!
ছিটকিনিতে আটকে আছে বেরসিক আঙ্গুল
এগিয়ে এসো!
অবিকল তুফানের মতো ……
বিন্যস্ত করো পাথরে পাথরে,
হাতে রাখো ভেজা চুল
দাও চুম্বন ,আগুন ধরে যাক …..
শেষে,তোমার প্রেমেই না হয় জ্বলুক আমার চিতা!
অনন্তকাল…