উৎসর্গঃআমার পিতৃছায়া প ট ল দা কে ও প্রিয় কবি হেলাল হাফিজ কে
বস্তির ফূর্তি সইতে না পেরে
নামহীন স্রোতের ধিক্কার নিয়ে
জলের পাহারায় অামার ভগ্নাবশেষ ভাসতে ভাসতে
বর্ষার ইচ্ছাকে তুলে দিয়েছে বৃষ্টির কাছে।
রক্তস্ফীত চোখ,উগ্র মাংসের গন্ধে
অন্ধতাকে বরণ করে নিতে জানে কিন্তু ঘুমুতে পারে না.......
খসে দেমাগী জল
মাটি সইতে জানেনা.....
প্রেম পারাপারহীন রহস্য-সাগর তুফানের মাঝে
নাবিকনীল পথিক অামি,
হাঁটতে হাঁটতে.....
মাথার কেশপাশ ঘিরে জড়ো করি
কিংশুক-রঙা অাঙুলের অবিশ্রাম বেদনা.........
জীবাশ্ম পথে বিদ্যুৎ-বালিকার ফসিল খুঁজে পেলেই
রেখে দেই অামার ঘনাতিঘন-ছায়া ঘেরা রহস্যঘরে......
অতঃপর.....
সময় গড়ে তুলে এক একটি ইতিহাস,
জন্মের ইতিবৃত্ত ভেঙে
কে খুঁজতে অাসে অামার বয়স?
পথের স্বপ্ন তো অাঁকাই অাছে.....
রক্ত কুড়িয়ে বুঝে নাও অামার অাঙুল-ব্যথা
ফিরে চাও শেষ গল্পের পীঠে.....
দেখবে,হেঁটে যাচ্ছে তোমাদের মাংসাশী জনপদ
মুখগুলো বড্ড চেনা চেনা,
পা'গুলো শূন্যের ওপর......
বলো,কোথায় তোমার রাত্রিগাছ?
অাগুনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে অাছে অামার চিতাকাঠ!
কেন্দ্রচ্যুত বৃত্ত পথরেখায়
তোমাদের ঘুমন্ত ফুটপাত অাজো বুঝে নি অট্রালিকার ইতিহাস
গরীবের মাদুর বিছিয়ে দিয়েছেন সাক্ষাত ঈশ্বর......