উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।
তিলোত্তমা
-----------
তিলোত্তমা তুমি তাকাও!
সামনেই বুদ্ধিদীপ্ত অনুকল্প,
দেখতে পাবে প্রজাতি সম্পর্কের গুঁতোগুতি......
কী হলো?
ভয় পেয়ো না!
সংগ্রামের বার্তা ছাপাবে যৌনযন্ত্র,
অনধিক্রমণীয় বলয়ের পাশে অক্রমিক সংযোগ-রেখা পথে
হেঁটে যাবে ছদ্ম-প্রগতিশীল পথিক.....
মূর্তিমান শিল্পীও রঙ ছিটাবে বিমূর্ত ধারায়,
গড়ে উঠবে তিমাত্রিক জগৎ;
কিন্তু শব্দ-সমুদ্রে হাবুডুবু খাবে
ভ্রমশূন্য যুক্তি ও ব্যাপ্তির খন্ডাংশ.....
তিলোত্তমা,মূর্ছা যেও না!
জড়-বন্ধ্যাগ্রস্ত হাতে তুলে নাও
কালের বহুমাত্রিক জ্যামিতি,
অন্তরে কেন্দ্রীভূত হোক সূর্যরশ্মি
অন্তত মানুষ জানুক
অান্তঃপ্রমাণীকরণের নীতি স্বতঃসিদ্ধ;
মুহূর্তে মুহূর্তে মগজের কোষে বিদ্যুৎ সঞ্চার
সকল প্রলয়াবস্থার বিনাশক!
অপ্সরা
----------
অপ্সরা!
ফুল পঁচে
বিষমাখা থালার পাশে
বাটিতে ঘোলা জল:
ধুলোতে নষ্ট পোকাদের উৎসব শেষে
একটি পিঁপড়ের চোখে
ক্যালেন্ডারের স্বপ্ন দেখে
মৃত অালোরা চুমু খাচ্ছে
শেষ সূর্যের পীঠে।
অপ্সরা,তুমি দেখেছো কী?
দীর্ঘদিন পর......
ভোরের গান
লাশ হয়ে ফিরলো
অামাদের ঘুমন্ত পাড়ায়...
অাফ্রোদিতি
--------------
বেনামী ডায়রীর
পাতায় পাতায় ছায়ানীল বর্ণমালা,
পুড়ে খাক লোধ্রকুসুম বন,
দৌড়াচ্ছে ময়ূর-রঙা শব্দেরা,
নাগিনী পথের বাঁকে বাঁকে........
পৃথিবী ঘুরছে ঠিক লাটিমের মত,
মস্তিষ্কের ভাঁজে ভাঁজে
অাত্ম-ঘাতকামী প্রতিভাকণার ঘ্রাণ,
মাথার ওপর খসে পড়ছে উল্কা,
চোখে ঘনাতিঘন-তমসা-রূপ দৃষ্টি
হাতে মিথুনমূর্তি।
একটু তাকাও অ্যাডোনিস!
ঝিনুকের পেটেই রেখে দিলাম
রতিশাস্ত্রের পাণ্ডুলিপি।
শুরু হবে শুক্র গ্রহের অান্দোলন
সমুদ্রফেনায় জেগে উঠবে কামনার ফুল।
অারে!কে?কে?
কে যেতে চায় অামার রহস্যদ্বীপে?
অামি অাফ্রোদিতি!
যুগ-যুগ ধরে ভেসে যাচ্ছি
রহস্যঘন জলের ওপর;
পারাপারহীন............
কিন্তু বেগবতী-ধারাবতী স্রোতেরা
নৌকোর খবর কখনোই রাখে নি!
রাখে না.........
অ্যাডোনিস!
মাংসপিণ্ডের ঠিকানা
একটু পাঠিয়ে দাও
ভিতরের অসম্পূর্ণতা দেখে নিতে চাই........
ক্লিউপেট্রা
--------------
অামি ক্লিউপেট্রা!
তোমাদের ভঙ্গুর সভ্যতায়
গড়ে তুলেছো অামার ভাস্কর্য,
কী অমোঘ শ্রম-কাম-ঘাম ঝরিয়ে
স্বয়ং অামাকেই খোদাই করো!
অথচ জানো না
স্বেদ-বিন্দুর নীচেই লুকিয়ে অাছে
মাংসের ইতিহাস,কর্মের ইতিহাস।
এ কী শুধুই ইতিহাস?
এ যে রক্ত-লবণের উৎসব!
দেখতে পাচ্ছো না?
গ্রহ-নক্ষত্রের গতি-বিধি পাল্টায় মুহূর্তে মুহূর্তে
পায়ের তলায় বাতাস ছিনিয়ে অানে সর্প-ছন্দ সুর,
চাঁদের জ্বলন্ত অালো পাক খায়
অবিরাম........অবিরাম.......
অাকাশ চিরে বেরিয়ে অাসে রহস্যধ্বনি!
কারুকার্যশোভিত প্রাসাদে
জাগ্রত হয় রক্ত-বর্ণা ফুল,
দেখো,দেখো,চেয়ে দেখো!
অাগুন হাতে তোমাদের অ্যান্টনি দৌড়াচ্ছে....
অবিরাম.........অবিরাম........
তারই গলিত মোম খুঁজে পায়
অামার ললিতবিভাস।