উৎসর্গঃঅামার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।
নাট্যমঞ্চ ------------------পৃথিবী
মানুষ---------------------দর্শক
জন্ম----------------------নায়ক
মৃত্যু----------------------নায়িকা
দু'মুঠো ভাত--------------সন্তান
অাগুন ও জল------------খল-নায়ক
প্রেম----------------------অাকাশ
অালোকচিত্রশিল্পী-----------সূর্য
অতিথি-শিল্পী------------শুক্লা-দ্বাদশী চাঁদ
সহকারী পরিচালক---------সবুজশোভিত বৃক্ষ
পরিচালক-----------------সময়
দৃশ্যপট একঃ
-------------
পূর্ণাত্মক স্মৃতিগুণকথন শুনে জাগে শব্দাদিভোগস্পৃহা,
বিপ্রতীপ সমভিব্যাহার;
ঘৃতভোক্তার নীল-লোহিত প্রীত সম্পাদনপুঃসর....
অগ্নিহোত্র -ভস্ম মাঝে অভক্ষ্য-ভক্ষণ,
মানুষ বাঁচে মৃত্যু ভুলে,
জন্ম হলো শৌখিন অালোর কারবারি.......
দৃশ্যপট দুইঃ
-------------
বৃক্ষের মগডালে বসে অাছে------স্বপ্ন
শিকড়ে অামার-----------------পা
মাটিতে অামার-----------------প্রাণ
সবুজ পাতায়------------মায়া ও ভালোবাসা।
হঠাৎ অাসে ঝড়-বজ্রপাত-বিদ্যুৎ কম্পন!
দেখো,তবু রয়েছি স্থির দাঁড়িয়ে.....
প্রণাম পৃথিবী!
অামি শিখেছি টিকে থাকার জাদুমন্ত্র!
দৃশ্যপট তিনঃ
--------------
হে দুর্ধর্ষ প্রেমিকা!
যদিও তোমার বীণা
কোনদিন বাজায়নি হৃদয়সংকেত!
তবুও তৃপ্ত অামি;
কেননা অন্তত একবার জন্মেছি শুদ্ধ প্রেমিক হয়ে.......
হে দুর্ধর্ষ প্রেমিকা!
একটি বসন্ত সংগীতের সোনালী সময়ে
যদি হৃদয়তন্ত্রী বেজে ওঠে মূর্ছনায়,
তবে চলে এসো,
দু'ফোঁটা অশ্রু নিয়ে.......
স্বাগতম!অামার অাকাশব্যাপী স্তব্ধতায়.......
দৃশ্যপট চারঃ
--------------
অভাব এসেছে, অামায় ভাত দে!
ক্ষুধা যদি অাগুন হয়,
তবে প্রেম ঠাঁই পায় বেশ্যালয়ে
যেখানে পুড়ে যায় জন্মপথের চতুর্দিক.....
দৃশ্যপট পাঁচঃ
--------------
সূর্য ফাটে.....অালো ঝরঝর.....
অনুসন্ধান স্মরণ-অতীত;
ভেদ-প্রজ্ঞায় অাকাশপারে ফোটে মৃত্যু-কুসুম
বৃত্তাচারীর নীল বৃত্তে অন্তর্ছেদ,
সন্ধানীজন জানে স্বর্ণ-শিখর,
কোন্ বলয়ে অতীতচারীর ক্রান্তিকাল?
চরণে রাখা মৃত্যু-ফুল,
রহস্যঅাকাশপারে অতিরঞ্জন!
ইথার স্পর্শহীন,জানে কাব্যনীল-বন্ধন,
ঐ ঐ খাদের সামনে জ্ঞান-শিখর
হেঁটে যাওয়া অাপাত দুর্গম,
তথাপি কাঁচাভুত মহাকালসংহার,
নেই শ্রম-ক্লান্তি-ঘাম,নীলকান্ত ঘুম।
ঐ ঐ সংজ্ঞাহারা লুপ্ত পথ,
অহো,সন্ধানী ভাবুক মন ক্রান্তিপারের সন্ন্যাসী,
হাসে শুক্লা-দ্বাদশী চাঁদ,
অহো,তুমি চন্দ্রাবলী?
চন্দ্রছায়ার বাঁকে বাঁকে ধুলি-পটলের বিন্যাস,
শুনো,জন্মসারপ্রাপ্তি মুক্তির স্পন্দন
অসুরগামী অন্ধকারে জাগে মহাশ্বেতা ভোর,
ন্যায়পাল মূর্ছাহত,
জগজ্জয়ী স্মরণচারী!
চোখে চন্দ্রকান্তমণি,
কণ্ঠে অালোর সুর.........