উৎসর্গঃআমার পিতৃছায়া প ট ল দা কে।
(১)
জন্মহাড়ে ঘুণপোকা,
নাভীকুণ্ডের নীচে অাগুনের অসমাপ্ত উপন্যাস।
শেষ কথা বলার অাগেই
প্রথম পৃষ্ঠার ভাঁজে
রাক্ষুসে মশা-মাছিদের অাত্মাহূতি দেখে
শুক্লা-দ্বাদশী চাঁদ-রঙা কাগজ ছিঁড়ে
স্বাধীনতা চায় মৃত্যু-গন্ধী কলম;
পিছু নেয় মগজ-বাড়ির মিষ্টরসের জল,
উদ্দেশ্য---
বিশুদ্ধতা চাই পরিপাকতন্ত্রের কাছে।
মলয়ের বাতাসে বাতাসে কোন ঘ্রাণ নেই,
সর্দিতে জমে অাছে শ্রবণ-কেন্দ্রের ইতিহাস
কাশিতে কাশিতে অন্ধ ভাইরাস।
হঠাৎ অশ্রুপিয়াসী অক্ষরজ্ঞানমণ্ডিত ঘনশ্যাম-রঙা চোখ বলে---
দৃষ্টিতে রেখেছি সময়,
জন্ম-ছুরি দ্বারা হবে মৃত্যু-শিরার ব্যবচ্ছেদ।
ওষ্ঠ হাসে,উত্তর দেয় সুরে সুরে.....
অারে, রসাতল-তলের তামসতম অাঁধারে
খেলা করছে অাকাশ অার পৃথিবী;
মানুষ ধারাভাষ্যকার.......
(২)
সাহিত্য-জগৎের ডানে-বামে গজিয়ে উঠেছে
কাব্য-ব্যবসায়ীর বাঞ্চাকল্পতরু,
মুখে পঁচা গন্ধ নিয়ে
সমালোচকের বেদনাস্কন্ধে পুনরুক্তবদভ্যাস,
সরল-পাঠক তো জানে না অন্ধিসন্ধি!
হাঁটে সুরকির রাস্তায়.....
সামনে গিরিখাত পাস,
মাটিতে মাটিতে চলে সুলুকসন্ধান,
পাবে কী থোড়বড়িখাড়া স্বরযুক্ত বেললেতরস্?
উত্তর এসে দিক্ স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ........